কিছুদি আগে, নদিয়ার ভীমপুরের রাঙিয়াপোতা এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে পালাচ্ছিল ২ জন। তাদের মধ্যে ছিল এক মহিলা। আর সেই খবর পেতেই বিএসএফ তৎপর হয়। গ্রেফতার হয় ওই ২ জন। এরপর চলে ধৃতদের জেরা। সেই জেরাপর্বের সূত্র ধরেই সদ্য উত্তর ২৪ পরগনা থেকে গ্রেফতার হয়েছে মানিক। জানা যাচ্ছে, আন্তর্জাতিক মহিলা পাচারচক্রের কিংপিন এই মানিক। মানিককে ধরতে পুলিশ বিছিয়ে ছিল টোপের জাল!
নদিয়া জেলায় দায়ের হয়েছিল মামলা। সেই মামলার কিনারা করতে গিয়ে পুলিশের জাল উত্তর ২৪ পরগনার ঘোলা থানা এলাকা পর্যন্ত বিছিয়ে যায়। উত্তর ২৪ পরগনা থেকে মানিককে গ্রেফতার করতেই তাকে আদালতে তোলা হয়েছে। পুলিশ এবার তাকে পেয়েছে নিজেদের হেফাজতে।
এর আগে, পুলিশ নিজে খদ্দের সেজে নারী পাচার চক্রের এই তাবড় মাথাকে ধরতে উদ্যত হয়। পুলিশের ফাঁদ ঘুনাক্ষরেও টের পায়নি মানিক। শেষে, টোপ দিয়ে মানিককে উত্তর ২৪ পরগনার এক হোটেলে নিয়ে যায় পুলিশ। আর সেখান থেকেই মানিককে গ্রেফতারি। পুলিশ আপাতত তাকে নিজের হেফাজতে নিয়ে জেরা করছে। কীভাবে উঠে এল এই মানিকের নাম? কীভাবে পর পর ঘটনাক্রমে মানিক এল পুলিশের জালে?
( Himanta:‘আম্বেদকরকে সমস্যাজনক মনে করতেন নেহরু’, বিস্ফোরক দাবি হিমন্তর, ভাষণে তুললেন পূর্ববঙ্গের যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডলের কথা)
ঘটনার সূত্রপাত সেই নদিয়ার ভীমপুরের রাঙিয়াপোতা এলাকা দিয়ে পালানো ধৃত ২ জনকে ঘিরে। সেদিন ওই মহিলার সঙ্গে ধরা পড়েছিল নাসির মোল্লা নামে এক যুবক। দুজনকেই ভীমপুর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয় বিএসএফ। নাসিরকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে আন্তর্জাতিক মহিলা পাচার চক্রের কথা। সামনে আসে এক দালালের নাম। সেই সূত্র ধরে বাহারুল মণ্ডল নামে একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিকে, ওই মহিলাকেও জেরা করা শুরু করে পুলিশ। পুলিশ জানতে পারে ৪ মাস আগে, বাংলাদেশের অশান্ত পরিস্থিতির মধ্যে পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে দালাল মারফৎ ভারতে প্রবেশ করেছিলেন ওই মহিলা। বাংলাদেশের ওই মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ হয় নাসের ও বাহারুলের। এদের মাধ্যমেই উত্তর ২৪ পরগনার মানিকের সঙ্গে যোগাযোগ হয় মহিলার। অভিযোগ, ওই মহিলাকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করিয়েছে মানিক। বনগাঁ সহ বহু এলাকার হোটেলে তাঁকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করানো হয়েছে বলেও মহিলার অভিযোগ মানিকের বিরুদ্ধে। সেই সূত্র ধরেই মানিকের কথা জানতে পারে পুলিশ। শেষমেশ টোপ দিয়ে মানিককে ধরে ফেলে পুলিশ।