বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দল মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করেন। দু’ঘণ্টা ধরে চলে ফিজিওথেরাপি। সূত্রের খবর, বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যায় এসএসকেএম হাসপাতালের মেডিক্যাল টিম। একজন মহিলা ফিজিওথেরাপিস্ট–সহ গোটা টিমের নেতৃত্ব দেন হাসপাতালের ফিজিক্যাল মেডিসিনের প্রধান ডাঃ রাজেশ প্রামাণিক।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। আগামী ৮ জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে। তার আগে আজ, বৃহস্পতিবার ইদ উৎসব পালিত হচ্ছে রাজ্যে। তবে এবার ইদের নমাজে যেতে পারলেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি প্রত্যেকবার এই উৎসবে যান। চোটের জন্য তিনি এবার যেতে পারেননি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে উত্তরবঙ্গ যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির সভা সেরে বাগডোগরা যাওয়ার পথে প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে হেলিকপ্টার সমস্যায় পড়ে। তড়িঘড়ি জরুরি অবতরণ করতে হয়। তাতে হাঁটুর লিগামেন্ট এবং বাঁদিকের হিপ জয়েন্টের লিগামেন্টে চোট পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তাই আজ বৃহস্পতিবার সকালে ইদের নমাজে উপস্থিত থাকতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী। আজ সকালে বড় মসজিদ, নাখোদা মসজিদে, টিপু সুলতান মসজিদে এবং রেড রোডের নমাজে যোগ দেওয়ার কথা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু চোটের জন্য নমাজে অংশ নিতে পারেননি তিনি। তবে বৃহস্পতিবার সকালে ফেসবুক পেজে সকলকে ইদ–উল–আযহা উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি। ফেসবুকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
কেমন আছেন এখন মুখ্যমন্ত্রী? জননেত্রীর এই চোটের পর বাংলার আপামর মানুষজন জানতে চাইছেন এখন কেমন আছেন মমতা? এই প্রশ্ন দলের প্রায় প্রত্যেক নেতা–মন্ত্রী থেকে শুরু করে কর্মীদেরও শুনতে হচ্ছে। কিন্তু আঘাত এতটাই লেগেছে যে, আগামী ১৫ দিন টানা বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এই চোট নিয়ে এখন পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে যাওয়াও কার্যত অসম্ভব তৃণমূল সুপ্রিমোর। তাই তিনি ভার্চুয়াল মাধ্যমে দলের কথা মানুষের কাছে পৌঁছে দেবেন বলেই সূত্রের খবর। এখন তিনি কালীঘাটের বাড়িতে চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে চলছেন।
আর কী জানা যাচ্ছে? বুধবার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দল মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করেন। দু’ঘণ্টা ধরে চলে ফিজিওথেরাপি। মুখ্যমন্ত্রীকে বাড়িতেই নিয়ন্ত্রিত হাঁটাচলা করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। সূত্রের খবর, বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যায় এসএসকেএম হাসপাতালের মেডিক্যাল টিম। একজন মহিলা ফিজিওথেরাপিস্ট –সহ গোটা টিমের নেতৃত্ব দেন হাসপাতালের ফিজিক্যাল মেডিসিনের প্রধান ডাঃ রাজেশ প্রামাণিক। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন পিজি হাসপাতালের অধিকর্তা ডাঃ মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়ও। আগামীকাল মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচি রয়েছে বীরভূমে। আবার আগামী ১৪ জুলাই সিমলায় বিরোধী দলগুলির বৈঠকের কথা আছে। সেখানে কি যেতে পারবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী? উঠছে প্রশ্ন।