অন্যান্য নির্বাচন হয়ে গেলেও রাজ্যের বহু পুরসভার নির্বাচন আজও হয়নি। সেখানে প্রশাসক দিয়ে কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মেয়াদ উত্তীর্ণ ওই সব পুরসভাগুলিতে এবার ভোট করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তবে সব যে একবারে হচ্ছে এমন নয়। সাত বছর আগে পাহাড়ের তিন পুরসভায় নির্বাচন হয়েছিল। এখন ওই তিন পুরসভার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। সুতরাং সেখানে প্রশাসক দিয়ে কাজ চলছে। যে তিন পুরসভায় নির্বাচন এখনও হয়নি সেগুলি হচ্ছে— কার্শিয়াং, কালিম্পং, মিরিক। পুর পরিষেবা দিতে প্রশাসক বসিয়ে কাজ চলছে। তবে পাহাড়ে এই তিন পুরসভায় নির্বাচন হবে খুব শীঘ্রই। এবার বিধানসভায় এমনই ইঙ্গিত দিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
কিন্তু পাহাড়ে তো চারটি পুরসভা। তাহলে তিনটি পুরসভায় নির্বাচন কেন? উঠছে প্রশ্ন। ২০১৭ সালে দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং, মিরি এই চার পুরসভায় ভোট হয়েছিল। সেখানে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা প্রথম তিনটি পুরসভায় ক্ষমতা দখল করে। তবে মিরিক জিতে নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। তারপর পুরসভারগুলির মেয়াদ শেষ হয় পাঁচ বছর পর। তখন ২০২৩ সালে একমাত্র দার্জিলিং পুরসভায় ভোট হয়। আর অজয় এডওয়ার্ডের হামরো পার্টি ক্ষমতায় আসে। তবে এই রাজনৈতিক আবহের বদল ঘটে যায়। অনীত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা দার্জিলিং পুরসভার ক্ষমতা দখল করে। এই অনীত থাপার কাজের প্রশংসা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: নতুন বছরের শুরুতেই কমরেডদের প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস শুরু, সিপিএমের নয়া উদ্যোগ
এখন দার্জিলিং পুরসভার মেয়াদ শেষ হয়নি। তাই সেখানে নির্বাচনের দরকার নেই। এই পরিস্থিতিতে বাকি তিনটি পুরসভায় ভোটের প্রয়োজন। কার্শিয়াং, কালিম্পং, মিরিকে ২০১৭ সালের পর পুরসভার ভোট হয়নি। তাই সেখানে প্রশাসক বসিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে। সেখানে এভাবেই পুর পরিষেবা জারি রাখা হয়েছে। ২০২২ সালে বাংলায় পুরসভা নির্বাচন হলেও এই তিনটি পুরসভা নির্বাচনের বাইরে ছিল। সুতরাং এই তিন জায়গায় নির্বাচন হয়নি। এবার এই তিন পুরসভায় দ্রুত ভোট হবে বলে সোমবার আশ্বাস দিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।