ভিআইপি রোড নাম হলেও কাজে তা ভিআইপি রইল না। বরং অবরুদ্ধ হয়ে পড়ল গোটা রাস্তাটাই। কার্যত ধস নামল বিধাননগর কমিশনারেটের ট্র্যাফিক ব্যবস্থায়। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হল। আর তা সামলাতে নাকানিচোবানি খেল ট্র্যাফিক ব্যবস্থা। কারণ সেই শ্রীভূমির তৈরি ‘বুর্জ খলিফা’। তাই মহাঅষ্টমীর রাতে ভিআইপি রোড আর ভিআইপি রইল না। এমন পরিস্থিতি তৈরি হল যে, গাড়ি চলাচল বন্ধ রইল বাইপাসের একটি অংশে। তীব্র যানজট তৈরি হল। নাকাল হলেন মানুষজন।কেন এমন পরিস্থিতি তৈরি হল? জানা গিয়েছে, দমদম রোডের কালভার্টে ফাটল ধরেছে। তাই ওই রাস্তায় ছোট গাড়ি, মোটরবাইক এবং রিকশা ছাড়া বাকি গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। সুতরাং বিটি রোডের দিক থেকে শ্রীভূমি এবং দমদম পার্কের পুজো দেখতে আসা গাড়ির পথ ছিল ভিআইপি রোড। তার উপরে শ্রীভূমির পুজোর জেরে সন্ধ্যেবেলা থেকে বন্ধ থাকছে লেকটাউনের ক্লক টাওয়ার থেকে যশোর রোড সংযোগকারী রাস্তা। তাই গাড়িগুলিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বাঙুরের ভিতর দিয়ে। সেখানেও রয়েছে একাধিক পুজো। তাই যশোর রোডের গাড়ির যানজটের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে ভিআইপি রোড থেকে আসা গাড়ির চাপ। আবার যশোর রোড থেকে গাড়ি ছাড়লে তা আটকে পড়ছে ভিআইপি রোডের দিক থেকে আসা গাড়িগুলি। এমনকী উল্টোডাঙা উড়ালপুলের নীচের রাস্তা পুজোয় গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। সেখান দিয়ে মানুষ যাতায়াত করে। তাই সবমিলিয়ে ভিআইপি রোডই ভরসা। সেই ভিআইপি রোডই এই বিপুল চাপ নিতে না পেরে অচল হয়ে পড়ে। কিন্তু বিধাননগর কমিশনারেটের দাবি, শ্রীভূমির পুজোয় মহাসপ্তমীর রাতে জনস্রোত রাস্তা দখল করে নেয়। ভিড়ের চাপে অনেকক্ষণ মণ্ডপে দর্শকদের প্রবেশ বন্ধ রাখতে বাধ্য হন পুজোর উদ্যোক্তারাই। লেকটাউনের ফুটব্রিজ–সহ কয়েকটি জায়গায় লোক পারাপার করাতে বাধ্য হয় পুলিশ। তাতেও ভিড় ঠেকানো যায়নি।বিধাননগর পুলিশের ডিসি (ট্র্যাফিক) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। কিন্তু অষ্টমীর রাতে অত্যধিক ভিড় হয়েছিল। তাই ভিআইপি রোডের উপরে গাড়ির চাপ বেড়ে যায়।’ কিন্তু আজ আর সেসব হবে না। কারণ এখানে আজ থেকে অর্থাৎ মহানবমী থেকে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষেধ করা হয়েছে। সুতরাং মানুষ আর ভিড় করতে পারবেন না। ফলে ভিআইপি রোডও সচল থাকবে।