পহেলগাঁও সন্ত্রাসবাদী হামলার পর পাকিস্তানি অভিনেতা ফাওয়াদ খানের বলিউডি ছবি ‘আবির গুলাল’ এদেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই এই সিদ্ধান্তের সমর্থন করেছেন। তবে, এরই মাঝে ফাওয়াদ খানে ছবির মুক্তি আটকানোর নিয়ে বিরোধিতা করে বসলেন দক্ষিণী অভিনেতা প্রকাশ রাজ। অভিনেতা সাফ জানিয়েছেন যে তিনি কোনও ছবি নিষিদ্ধ করার বিরোধী। তাঁর কথায়, ছবিগুলি মুক্তি পাক, মানুষ নিজেরাই এগুলি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিক। আপনি ছবি নিষিদ্ধ করতে পারেন না।
ঠিক কী বলেছেন প্রকাশ রাজ?
‘দ্য ল্যালানটপ’-এর সঙ্গে বিশেষ আলাপচারিতায় প্রকাশ রাজ বলেন, ‘আমি কোনও ছবি নিষিদ্ধ করার পক্ষে নই। তা সে ডানপন্থী হোক বা প্রোপাগান্ডা ছবি। মানুষ নিজেরাই এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নিক। মানুষের অধিকার আছে। আপনি ছবি নিষিদ্ধ করতে পারেন না, যদি না না সেটি পর্নোগ্রাফি বা শিশুশোষণের বিষয়বস্তু নিয়ে তৈরি ছবি হয়। কিন্তু একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ছবিগুলি মুক্তি পেতে দিন।’
দীপিকা ও শাহরুখের ছবির উদাহরণ টেনে তিনি আরও বলেন, ‘আজকের সময়ে কেউ কেউ আঘাত পেতে পারেন। বলতে পারেন, আমি দীপিকার নাক কেটে ফেলব, মাথা কেটে ফেলব…তাতে কী হবে? শাহরুখ খানের ছবি শুধু রঙের কারণে আটকে যায়? বেশরম রং নয়…যাঁরা যে কোনও কিছু পছন্দ করে না তাঁরা সেটা নিয়ে কান্নাকাটি শুরু করতে পারেন।’
উল্লেখ্য, যখন দীপিকা পাড়ুকোনের ছবি ‘পদ্মাবত’ মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল, তাঁর আগে কর্ণি সেনা দীপিকাকে নাক কাটার হুমকি দিয়েছিল। অন্যদিকে, যখন শাহরুখ খানের ছবি পাঠান মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল, তখন অনেকেই আবার ছবির ‘বেশরম রং’ গানে দীপিকার গেরুয়া বিকিনি পরার বিরোধিতা করেছিলেন।
সরকারের উপর ক্ষুব্ধ প্রকাশ রাজ!
কেন্দ্রের সমালোচনা করে প্রকাশ রাজ বলেন, "বর্তমান সরকার এটা হতে দিচ্ছে। তাঁরা এটা করার জন্য মানুষকে যথেষ্ট সমর্থনও করছে, যাতে সমাজে ভয় ছড়ানো যায়। কিছু ছবি দেশে তৈরি হয় না। তারা এটা হতে দেবে না কারণ সেন্সরশিপ আছে। রাজ্য সেন্সরশিপ ছিল। এখন, তাঁঁরা স্পষ্টভাবে এটিকে কেন্দ্রও সেন্সরশিপে নিয়ে এসেছে। তারাই সিদ্ধান্ত নেয় কী তৈরি হবে। সিনেমা শিল্পে টাকা আছে। তাই তাঁদের ধারণা হলো এত ভয় ছড়ানো যে পরবর্তী প্রজন্ম আর এমন কোনও কিছু লিখবে না, যা হয়তবা তারা লিখত।'