বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের অন্যতম তরুণ তুর্কী তথা জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল! বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে একাধিক পোস্ট করেছেন তাঁর দলীয় সহকর্মী সারজিশ আলম।
বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ (রবিবার - ৪ মে, ২০২৫) সন্ধ্য়ায় এই 'হামলার শিকার' হন হাসনাত। ঘটনাটি ঘটে বাংলাদেশের গাজীপুর নগরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায়। অভিযোগ হল, সেখানেই এনসিপি-র মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলা চালানো হয়। এই হামলায় হাসনাতের হাতে আঘাত লাগে বলেও দাবি করা হচ্ছে। ফেসবুকে সেই আঘাতের ছবিও পোস্ট করেছেন সারজিশ।
প্রসঙ্গত, সারজিশ হলেন এনসিপি-র আরও এক মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল)। এদিন ফেসবুকে এই 'হামলা' নিয়ে একাধিক পোস্ট করেন তিনি। তার মধ্য়ে একটিতে হাসনাতকে রক্ষা করার আবেদনও করেন।
সারজিশ লেখেন, ‘হাসনাতের গাড়িতে ১০-১২ জন সন্ত্রাসী গাজীপুর এলাকায় হামলা করেছে। গাড়ির গ্লাস ভেঙে গিয়েছে, হাত রক্তাক্ত হয়েছে। আশেপাশে যাঁরা আছেন, হাসনাতকে প্রটেক্ট করুন। কমেন্টে লোকেশন দিচ্ছি।’
পরে অন্য একটি পোস্টে 'হামলার প্রমাণ' হিসাবে কিছু ছবি তুলে ধরেন সারজিশ। সঙ্গে ক্যাপশনে লেখেন, ‘হাসনাত যে গাড়িতে আসছিল....! কত ধারালো অস্ত্র দিয়ে গাড়িতে আঘাত করা হয়েছিল!’
বস্তুত, সারজিশের সেই ফেসবুক পোস্টে একটি সাদা গাড়ি দেখা গিয়েছে। যেটিকে হাসনাতের ব্যবহার করা সেই গাড়ি বলে দাবি করা হয়েছে। সেই গাড়িতে যে ভাঙচুর চালানো হয়েছে, সেটা মোটামুটি স্পষ্ট। গাড়ির কাচে বেশ বড় আকারের একটি গোল ভাঙা অংশ দেখা গিয়েছে। যদিও কে বা কারা এই 'হামলা' চালিয়েছে, কেনই বা চালিয়েছে, সেটা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।
তবে, এই ধরনের একটি ঘটনা যে ঘটেছে, তা স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনও স্বীকার করেছে। কিন্তু, শেষ পাওয়া খবর অনুসারে - তাদের তরফ থেকে এ নিয়ে বিস্তারিত কোনও তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
গাজীপুর নগরের বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক (ওসি) মহম্মদ শাহিন খান এই ঘটনা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছেন। যদিও তিনি বলেন, 'এখনও ঘটনার বিস্তারিত জানতে পারিনি। আমরা কথা বলে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি।'
অন্যদিকে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে গাজীপুরেরই কোনও এক পুলিশকর্তা নাকি বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, হাসনাত আবদুল্লাহ বর্তমানে গাজীপুরের বোর্ডবাজার এলাকায় আইইউটি-র ভিতর নিরাপদে আছেন। তাঁর সঙ্গে পুলিশ-সহ আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট বাহিনী ও বিভাগের প্রতিনিধিরাও আছেন। তাঁরা হাসনাতের সঙ্গে কথা বলছেন।