জগদীপ ধনখড়ের পথ দ্রুত অনুসরণ করে নেমে পড়েছেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল একতরফা বিজেপির কথা শুনে বিবৃতি দিচ্ছেন। মনে রাখতে হবে রাজ্যপাল বিজেপির ক্যাডার ছিলেন। আর কামারহাটির তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কের দাবি, রাজ্যপাল অ–আ–ক–খ শিখছেন। রাজ্য রাজনীতির কিছুই বোঝেন না তিনি। ব্যস, এই নিয়ে এখন সরগরম রাজ্য–রাজনীতি।
মদন মিত্র-সিভি আনন্দ বোস।
আবার রাজ্যপাল বনাম শাসকদলের সংঘাত শুরু হয়ে গেল। এতদিন যে মধুর সম্পর্ক ছিল তা আপাতত অতীত। জগদীপ ধনখড়ের পর বাংলার হাওয়ায় স্নিগ্ধতা এসেছিল। এখন তা ফের তপ্ত হয়ে উঠেছে। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলে রাজ্যপাল চুপ থাকবেন না। এমন মন্তব্য করেছেন বড়লাট সিভি আনন্দ বোস। নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলার অভিযোগের ঘটনায় কড়া বার্তা দিয়েছে রাজভবন। আর তারপর তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’য় কড়া ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে বাংলার রাজ্যপালকে। আজ, সোমবার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মদন মিত্রও।
দলীয় মুখপত্রে লেখা হয়, জগদীপ ধনখড়ের পথ দ্রুত অনুসরণ করে নেমে পড়েছেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল একতরফা বিজেপির কথা শুনে বিবৃতি দিচ্ছেন। মনে রাখতে হবে রাজ্যপাল বিজেপির ক্যাডার ছিলেন। আর কামারহাটির তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কের দাবি, রাজ্যপাল অ–আ–ক–খ শিখছেন। কিন্তু রাজ্য রাজনীতির কিছুই বোঝেন না তিনি। ব্যস, এই নিয়ে এখন সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য–রাজনীতি। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ আগেই বলেছেন, এটা চাকরি বাঁচানোর বিবৃতি। তার সঙ্গে মদন মিত্রের মন্তব্য যুক্ত হওয়ায় সংঘাতের রাস্তাই সুগম হল বলে মনে করা হচ্ছে।
ঠিক কী বলেছেন মদন মিত্র? মদনের গলায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে চড়া সুর শোনা যায়। কামারহাটির তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক বলেন, ‘বাংলার শিক্ষক রেখে রাজ্যপাল অ–আ–ক–খ শিখছেন ঠিকই। খুব ভাল কথা। কিন্তু রাজ্যপাল রাজ্য–রাজনীতির ক্যাট–ব্যাট কিছুই বোঝেন না। রাজ্যপাল ভেবেছিলেন আস্তে আস্তে সিঁধ কাটবেন। ধরা পড়ে যাবেন ভাবেননি। রাজনীতি দিয়ে লড়তে হলে আগে বাংলাকে চিনতে হবে। কেউই আমাদের রাজ্যপাল নয়, বিজেপির রাজ্যপাল। এই রাজ্যপাল অ–আ–ক–খ শিখলেও, রাজ্যের রাজনীতি শেখেননি।’