কুণাল ঘোষ।
সদ্য স্পেন সফর সেরে দেশে ফিরেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এবার আমেরিকা যাওয়ার ইচ্ছে তাঁর। সেই আর্জি নিয়ে তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। আর তারপরই কুণাল ঘোষের আবেদনের অনুমতি দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এবার আমেরিকা সফরে যেতে পারবেন কুণাল ঘোষ। ২০১৬ সালে সারদা মামলায় জামিন পান কুণাল ঘোষ। তবে তাঁর রাজ্যের বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা ছিল। সুতরাং রাজ্যের বাইরে যেতে চাইলে আদালতের অনুমতি প্রয়োজন হয় তাঁর। স্পেন সফরে যাওয়ার আগেও অনুমতি নিতে হয়েছিল আদালতে। এবারও তাঁর আমেরিকা সফরে অনুমতি দিলেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি।
এদিকে আজ, শুক্রবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ এই অনুমতি দেন। তবে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর নির্দেশ, কুণাল ঘোষ এখনই আমেরিকা যাওয়ার ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। কিন্তু আমেরিকা যাওয়ার আগে তাঁর সফরসূচি কলকাতা হাইকোর্টকে জানিয়ে দিতে হবে। এখানে কুণাল ঘোষকে আমেরিকা যাওয়ার অনুমতি দেওয়া নিয়ে সিবিআই কোনও আপত্তি করেনি। যা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে অনেকের মনে হয়েছে। তবে কুণাল ঘোষ কবে আমেরিকা যাবেন সেই তারিখ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। সম্ভবত দুর্গাপুজোর আগে অথবা পরে তিনি যেতে পারেন আমেরিকায়। রাজ্যপাল অবশ্য সম্প্রতি নিজের সফর বাতিল করেছেন।
কেন আমেরিকা যাবেন কুণাল? সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরসঙ্গী হিসেবে স্পেন এবং দুবাইতে গিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। সেটা আদালতের অনুমতি নিয়ে যেতে হয়েছিল। এখন দেশে ফিরেছেন তিনি। তাঁর আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী আদালতে রিপোর্ট দিয়ে জানান, কুণাল ঘোষ আদালতের সব নির্দেশ মেনেই স্পেন–দুবাই সফর সেরে ফিরেছেন। এবার আমেরিকা যাওয়ার আর্জি জানান কুণাল ঘোষ। কারণ তৃণমূল কংগ্রেসের এই নেতার ছেলে আমেরিকায় পড়াশোনা করছে। তাকে দেখতেই যেতে চান বাবা কুণাল ঘোষ। আগে কুণাল ঘোষ সিঙ্গাপুরেও গিয়েছেন। আর আইন মেনে ফেরতও এসেছেন। আইনভঙ্গের কোনও অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে ওঠেনি।
আরও পড়ুন: বিরাট চাপে পড়ে গেল বন দফতর, এলিফ্যান্ট সাফারি নিয়ে এখন মাথায় হাত
আর কী জানা যাচ্ছে? এই আমেরিকা সফর নিয়ে সিবিআই কোনও আপত্তি করেনি। কলকাতা হাইকোর্ট অনুমতি দেওয়ার পর এবার কুণাল ঘোষ ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। সারদা মামলায় কুণাল ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিছুদিন জেলবন্দিও ছিলেন এই নেতা। তবে তাঁকে স্পেন যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ। তবে স্পেনে যাওয়ার সময় আপত্তি করেছিল সিবিআই। যা খারিজ হয়ে গিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। তাই হয়ত আর আপত্তি করেনি সিবিআই।