কসবা কাণ্ডে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। সেই আবহে রাজ্যের সব সরকার পোষিত কলেজে পরিচালন সমিতির দায়িত্বে এখনই কিছু পরিবতর্ন আনতে চায়ছে না উচ্চ শিক্ষা দফতর। এই পরিস্থিতিতে পরিচালন সমিতির মেয়াদ আরও বাড়ল। ছ’মাস মেয়াদ বাড়িয়েছে উচ্চশিক্ষা দফতর। নির্দেশিকা করি করে উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিচালন সমিতির বর্তমান মেয়াদ বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ধর্ষণের পর কত রাত পর্যন্ত কসবা কলেজে ছিল মনোজিৎ? প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হয়েছিল?
উচ্চশিক্ষা দফতর এক নির্দেশে জানিয়েছে, যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিচালন সমিতির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে কিংবা শিগগিরই শেষ হতে চলেছে, সেগুলির পুনর্গঠনের কাজ আপাতত বন্ধ থাকছে। ফলে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্তমান পরিচালন সমিতিগুলোকেই দায়িত্বে রাখা হবে। এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে শিক্ষা মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কারও মতে, প্রশাসনিক শূন্যতা এড়াতে এবং প্রতিষ্ঠান চালু রাখতেই রাজ্য সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আবার অনেকেই বলছেন, দীর্ঘ সময় ধরে এক পরিচালন সমিতিকে ক্ষমতায় রাখা হলে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে বাধ্য। এতে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের সুযোগ তৈরি হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে।
প্রসঙ্গত, কসবা কাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে ‘কসবা কাণ্ড’-এর জেরে এখন পঠনপাঠন আপাতত বন্ধ রয়েছে। সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বুধবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কলেজে ক্লাস চালু থাকার কথা। পরিচালন সমিতি কী ভেবে পঠনপাঠন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটা খোঁজ নিতে হবে। ছাত্রছাত্রীরা শীঘ্রই স্বাভাবিক ক্লাসে ফিরবে বলে আশা প্রকাশ করেন ব্রাত্য।