রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ রাখাল বেরার বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির তদন্তভার নিল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। রাখাল এখন পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। অভিযোগ, সেচ দফতরে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রচুর টাকা নিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ট রাখাল বেরা। এই প্রতারণার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল মানিকতলা থানার পুলিশ। এবার সেই মামলার দায়িত্ব নিল লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ। ফলে সরগরম হয়ে উঠল রাজ্য–রাজনীতিও।এই রাখাল বেরা শুভেন্দু অধিকারীর পিএ হিসাবেও কাজ করেছিল। রীতিমতো বাড়িতে যাতায়াত ছিল। তাঁর বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে। যেখান থেকে বিধায়ক তথা মন্ত্রী হয়েছেন অখিল গিরি। রাখান বেরা যখন এই দুর্নীতি করেছিলেন তখন সেচ দফতরের মন্ত্রী ছিলেন স্বয়ং শুভেন্দু অধিকারী। ইতিমধ্যেই ত্রিপল চুরির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠছে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। তারপর উঠে আসে দুটি নাম— রাখাল বেরা ও চঞ্চল নন্দী। দুজনেই শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ বলে পুলিশের দাবি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ এই দুজনের যুগলবন্দিই চাকরির নামে প্রতারণা চক্র চালিয়ে গিয়েছে। রাখাল বেরা আপাতত পুলিশের হেফাজতে আর রাডারে রয়েছেন চঞ্চল নন্দী।ইতিমধ্যেই হোয়াটসঅ্যাপের কথোপকথন এবং অন্যান্য প্রমাণ হাতে এসেছে তদন্তকারীদের। রাখাল বেরার নামে প্রতারণা, ষড়যন্ত্র–সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। দু’জনের যুগলবন্দিতে ২০১৮–২০১৯ সালের মধ্যে কয়েক লক্ষ টাকার প্রতারণা হয়েছে। প্রতারণা চক্রের পিছনে থাকা আসল রাঘব বোয়াল পর্যন্ত পৌঁছতেই গোয়েন্দারা দায়িত্ব নিল। আরও কারা এই ঘটনায় জড়িত তা জানতে চাইছে পুলিশ। ধৃত রাখাল বেরাকে শিয়ালদহ আদালতে তোলা হলে ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।সূত্রের খবর, কলকাতা এবং দিঘাতে রাখালের বিপুল সম্পত্তি রয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁকুরগাছিতে তাঁর ছাপখানার ব্যবসা রয়েছে। দিঘাতেও হোটেল ব্যবসা রয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী কলকাতায় এলেই ছায়াসঙ্গী হিসাবে দেখা যেত রাখাল বেরাকে। কলকাতায় শুভেন্দু অধিকারীর পারিবারিক ব্যবসা, ফ্ল্যাট–সবই দেখভাল করতেন রাখাল বেরা। এমনকী পূর্ব মেদিনীপুরের যাবতীয় সমবায় ব্যাঙ্কের নথিপত্র ছাপা হত রাখাল বেরার ছাপাখানা থেকেই।