ভোট পরবর্তী হিংসার আতঙ্ক থেকে দলকে বার করে এনে ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করা সব থেকে কঠিন ছিল। বিজেপির রাজ্য সভাপতি হিসাবে শেষ সাংবাদিক বৈঠকে এমনই বললেন বিদায়ী সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। একই সঙ্গে তিনি বলেন, দ্বিতীয়বার লোকসভা ভোটে জিতে সাংসদ হওয়া ছিল সব থেকে তাৎপর্যপূর্ণ মুহূর্ত।বৃহস্পতিবারই নতুন রাজ্য সভাপতি পেতে চলেছে বিজেপি। ইতিমধ্যে চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের নাম। ঠিক তার আগের সন্ধ্যায় রাজ্য বিজেপি সভাপতি হিসাবে শেষ সাংবাদিক বৈঠকে সংবাদমাধ্যমের যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দিলেন সুকান্তবাবু। বললেন, ‘রাজনীতিতে সহজ সময় বলে কিছু হয় না। সব সময়ই কঠিন হয়। যেহেতু আমার সময় লোকসভা নির্বাচন হয়েছে ফলে সেটা অবশ্যই কঠিন সময় ছিল। লোকসভা নির্বাচনে আমরা যে পোস্ট পোল ভায়েলেন্সের ধাক্কাটা পেয়েছিলাম। সেই ধাক্কাটা সামলে পার্টিকে বার করে আনা একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। কেউ বলছিল ৫টা সিট পাবে, কেউ বলছিল ৬টা সিট পাবে। আমাদের দলের মধ্যে বিভ্রান্তি ছিল কটা সিট পাব শেষ পর্যন্ত। ৩৮ শতাংশের মতো ভোট আমরা এখনও ধরে রাখতে পেরেছি। আমার বিশ্বাস আগামীদিনে আমরা এখান থেকে জয়ের জায়গায় যাব। এখানে সরকার গঠন করব।’রাজ্য বিজেপির সভাপতি হিসাবে নিজের কার্যকালের সব থেকে ভালো মুহূর্ত কোনটি। এই প্রশ্নের উত্তরে সুকান্তবাবু বলেন, ‘আমি যখন দ্বিতীয়বার জিতে ফিরেছিলাম ওই সময়টা আমারকাছে খুব তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। কারণ প্রথমবার জেতা রাজনীতিতে খুব জেতা। দ্বিতীয়বার জেতা অত সহজ নয়, রাজনীতির পণ্ডিতরা এটা বলেন। বিশেষ করে যার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে আমি জিতেছি তাঁকে উত্তর বঙ্গে তৃণমূলের মহীরুহ বলা হয়। তার ওপরে তিনি পূর্ণমন্ত্রী। প্রশাসন তাঁর হাতে। তাঁকে হারিয়ে ফিরে আসা ৩০ শতাংশ মুসলিম ভোট রয়েছে এমন আসন থেকে। এটা কোনও সহজ কথা নয়। অনেকেই ভেবেছিলেন হেরে যাব। শেষ হাসিটা আমিই ভেবেছি।’