যাঁরা উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেও জয়েন্ট বা উচ্চ শিক্ষার জন্য চিন্তায় ছিলেন, তাঁদের জন্য স্বস্তির খবর। অনেকেই ৯(২) রেগুলেশনের আওতায় পাশ করলেও জয়েন্ট প্রবেশিকা বা উচ্চশিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন। এবার তাঁদের জন্যই ফের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসার সুযোগ করে দিল শিক্ষা সংসদ। তার জন্য আবেদন গ্রহণ আগেই শুরু হয়েছে। সেই সময়সীমা আরও বাড়ানো হল।
আরও পড়ুন: রোজ ১২ ঘণ্টা পড়াশোনা, দেড় মাসের প্রস্তুতিতেই বাজিমাত, উচ্চমাধ্যমিকে ১ম রূপায়ণ
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বিশেষ সুযোগ শুধু তাঁদের জন্য, যাঁরা ৯(২) রেগুলেশনে উত্তীর্ণ হয়েছেন। এই নিয়মে ছ’টি বিষয়ের মধ্যে ভাষাভিত্তিক (বাংলা ও ইংরেজি) বিষয় ছাড়াও চারটি বিষয়ের মধ্যে তিনটিতে পাশ করলেই পরীক্ষার্থী পাশ বলে গণ্য হয়। এর ফলে কোনও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ফেল করলেও সেই বিষয়টি বাদ দিয়ে ‘বেস্ট অব ফাইভ’ পদ্ধতিতে পাশ করা সম্ভব। তবে এর অসুবিধা হল, বিজ্ঞান বিভাগের ক্ষেত্রে। ছাত্রছাত্রীরা জয়েন্ট বা অন্যান্য প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসলেও সুযোগ পান না, কারণ সেখানে পদার্থবিদ্যা, রসায়ন ও গণিতে পাশ করাটা বাধ্যতামূলক। তাই অনেকেই বাধ্য হয়ে আবার সেই বিষয়ের পরীক্ষা দিতে চান। কিন্তু তখন তাঁরা নিয়মিত (রেগুলার) ছাত্র হিসেবে আর পরীক্ষা দিতে পারেন না, তাতে এক বছর সময় নষ্ট হয়।
এই সমস্যা দূর করতেই উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ জানিয়েছে, ৯(২)-এ উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীরা চাইলে আবার দ্বাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে নতুন সিলেবাস ও সেমেস্টার পদ্ধতিতে রেগুলার প্রার্থী হিসেবে সব বিষয়ের পরীক্ষা দিতে পারবে। এই নতুন ব্যবস্থায় এক বছর অপেক্ষা না করেই তারা সোজা তৃতীয় ও চতুর্থ সেমেস্টারের পরীক্ষায় বসতে পারবে।
সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, এই সুযোগ ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ১০০টি আবেদন জমা পড়েছে। যাঁরা প্রথমে আবেদন করতে পারেননি, তাঁরাও যাতে সুযোগ পান, তাই আবেদন নেওয়ার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। আবেদন করতে হলে স্কুলের মাধ্যমেই অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আবেদন করার সময় আগের উচ্চ মাধ্যমিক পাশের ফল জমা দিতে হবে। ৩০ জুন পর্যন্ত শিক্ষা সংসদের ওয়েবসাইটে এই প্রক্রিয়া চালু থাকবে।
এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষকরা। তাঁদের বক্তব্য, বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রী জানেই না যে তারা আবার পরীক্ষা দিতে পারবে। তাই সময়সীমা বাড়ানো খুব ভালো পদক্ষেপ। স্কুলের শিক্ষকদেরও এ বিষয়ে এগিয়ে আসা দরকার।