রাজ্যের ইএসআই হাসপাতালগুলির রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে আগেই প্রশ্ন উঠেছিল। এমনকী হাসপাতালের দামি যন্ত্রপাতির সমস্যা নিয়েও অভিযোগ বিস্তর। আর এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল—কোটি কোটি টাকা এই খাতে বরাদ্দ থাকলেও ইএসআই নিগমের আঞ্চলিক কোষাগারে তা পড়েই রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আগামী অর্থবর্ষ থেকে এই হাসপাতালগুলির রক্ষণাবেক্ষণের গুরুদায়িত্ব নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। রাজ্য শ্রমদফতরের পক্ষ থেকে নিগমকে এই দায়িত্ব নেওয়ার সম্মতি জানিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? শ্রমদফতর সূত্রে খবর, রাজ্যের ১৩টি ইএসআই হাসপাতাল বিল্ডিং রয়েছে। আর সেখানে মেডিক্যাল সরঞ্জাম থাকলেও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সচল নেই বলে অভিযোগ। নিয়ম অনুযায়ী, রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রাজ্যের ইএসআই ডিরেক্টরের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট প্রস্তাব পাঠাতে হয় নিগমের আঞ্চলিক দফতরে। তারাই অর্থ বরাদ্দ করে। রাজ্যের অভিযোগ, একাধিক হাসপাতাল ভবনের দশা ভগ্নপ্রায়। কোথাও ছাদ ভেঙে পড়েছে। আবার কোথাও হাসপাতালে যাওয়ার মুখে জল জমে রয়েছে। দামি যন্ত্রপাতির রক্ষণাবেক্ষণ নিয়মিত না হওয়ায় নষ্ট হতে বসেছে। এই কাজের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হলেও নিগম কর্তৃপক্ষ উদাসীন বলে অভিযোগ। আর তাতে রোগীদের সমস্যা বাড়ছে।
তারপর সমস্যা মিটল কী? রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটকের উপস্থিতিতে আঞ্চলিক পর্ষদের বৈঠকে সরব হন রাজ্যের আধিকারিকরা। বিগত তিন বছরে এই খাতে নিগমের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ বরাদ্দ করা সত্ত্বেও কোটি কোটি টাকা অব্যবহৃত পড়ে রয়েছে। এই নিয়ে নিগমের আঞ্চলিক ডিরেক্টর অক্ষয় কালা যুৎসই কোনও ব্যাখ্যা দিতে পারেননি বলে সূত্রের খবর। তবে আগামী অর্থবর্ষ থেকে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব রাজ্যের হাতে দিতে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।