নির্বাচন কমিশন সর্বভারতীয় তকমা কেড়ে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস, এনসিপি এবং সিপিআইয়ের। কিন্তু তার মধ্যে আরও একটা ঘটনা কারও চোখে পড়ছে না। সেটা হল বাংলায় সিপিএমের সঙ্গে জুড়ে আছে সিপিআই, ফরওয়ার্ড ব্লক এবং আরএসপি। সিপিআই তো সর্বভারতীয় তকমা খুইয়েছে। সেটা কবে আবার ফিরে পাবে তার কোনও দিশা দেখা যাচ্ছে না। ফরওয়ার্ড ব্লককে নিয়ে তেমন আলোচনা গত ১২ বছর ধরে কেউ করে না। আর ছোট শরিক আরএসপি আদৌ আছে কিনা তা নিয়ে বাংলার মানুষের মনে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ তাদের উপর কোপ পড়েছে নির্বাচন কমিশনের।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? বহুদিন যাবৎ কোনও আন্দোলনে দেখা যায় না আরএসপি– কে। এই দলের সবচেয়ে পরিচিত মুখ ছিলেন ক্ষিতি গোস্বামী। আর এই তিন শরিককে একত্রিত করেই বলা হয় বামফ্রন্ট। কালের গতিতে এখন সবাই বলেন চার বুড়োর দল। যদিও সিপিএম লড়াই আন্দোলন করে রাজ্যে একটা জায়গা করেছে ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার পরও। সেখানে বামেদের শরিক দল আরএসপি এবার বাংলায় রাজ্য দলেরও তকমা হারাল। সোমবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকেই এই ঘোষণা করা হয়েছে। আর তাতেই সবার আবার মনে পড়ছে ক্ষিতি গোস্বামীর কথা। যিনি বাম জমানায় পূর্তমন্ত্রী ছিলেন।
আর কী জানা যাচ্ছে? ২০১১ সালে বাংলায় পালাবদলের পর বড় শরিক সিপিএমের বিধানসভায় সংখ্যা শূন্যে নেমেছে। আর তিন শরিক দল কার্যত অস্তিত্ব সঙ্কটে ভুগছে। উদয়ন গুহ, পরেশ অধিকারীর মতো শরিক দলের অনেক নেতারাই তৃণমূল কংগ্রেসে নাম লেখান। ক্ষিতি গোস্বামী কিন্তু শেষদিন পর্যন্ত আরএসপি–তে ছিলেন। ২০১৯ সালে প্রয়াত হন ক্ষিতি গোস্বামী। আর আরএসপি এবার বাংলায় রাজ্য দলেরও তকমা হারাল। তবে রাজ্য–রাজনীতিতে অনেকদিন ধরেই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে সিপিআই এবং ফরওয়ার্ড ব্লক। সেখানে আরএসপি’র আরও প্রাসঙ্গিকতা লোপ পেল।