আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। আর তার পর থেকে আন্দোলনে নেমে পড়েন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের সঙ্গে যোগ্য ইন্ধন দেন সিনিয়র ডাক্তাররা। আর এই আন্দোলনের অন্যতম সমর্থক তথা সিপিএম ঘনিষ্ঠ ডাক্তার নেতা ডা. নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে আজ, বৃহস্পতিবার কুণাল ঘোষের বৈঠক হল। তাও আবার একান্তে। এই দু’জনের মধ্যে একঘণ্টা কথাও হয়। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন কুণাল–নারায়ণ। এই বৈঠক নিয়ে কৌতূহলের পারদ চড়তে শুরু করেছে। আর উঠেছে একাধিক প্রশ্ন।
এই চিকিৎসককে সিপিএমের হয়ে নির্বাচনে প্রচার করতে দেখা গিয়েছিল। তবে সেটা প্রার্থীর হয়ে। সিপিএমের যুবনেত্রীকে এই চিকিৎসকই ক্যাপ্টেন তকমা দেন। আর সূত্রের খবর, জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন এবং অচলাবস্থা কাটানো প্রয়োজন বলে অনুভব করেন তিনি। আর তা নিয়েই দু’জনের আলোচনা হয়েছে। কুণাল ঘোষের সঙ্গে নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকের খবর চাউর হতেই জুনিয়র ডাক্তার ফ্রন্টের অন্যতম নেতা আশফাকউল্লা নাইয়া বলেন, ‘কেউ কারও সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করতেই পারেন। তা নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। তবে এটা বলতে পারি, জুনিয়র ডাক্তারেদর পক্ষ থেকে উনি যাননি।’
আরও পড়ুন: সদ্যজাত শিশুর মৃতদেহ উধাও শিলিগুড়ি হাসপাতাল থেকে, তদন্তের আশ্বাস দিল সুপার
নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন সিনিয়র চিকিৎসক। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের সমর্থনে একাধিকবার সরব হয়েছেন তিনি। আন্দোলনকে সমর্থন করে সামনের সারিতে থেকেছেন এই সিনিয়র চিকিৎসক। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কুণাল ঘোষ অভিযোগ করেছিলেন, নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করতে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে ব্যবহার করছে কিছু সিনিয়র চিকিৎসক। এই আবহে কুণাল ঘোষের সঙ্গে দেখা করে বৈঠক করলেন চিকিৎসক নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়। দু’জনের এই বৈঠক আজকের প্রেক্ষাপটে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। আজ যখন অনিকেত মাহাতো হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তখন তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করার আর্জি জানান।