রাম নবমী হিংসায় কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়ে তদন্ত প্রয়োজন। শুনানির শেষ দিনে এমনই মন্তব্য করলেন এই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। আদালতে NIA-র তরফে জানানো হয়েছে, তারা এই হিংসার তদন্ত করতে তৈরি। যদিও মামলার রায়দান স্থগিত রেখেছে আদালত।গত ৩০ মার্চ হাওড়ার শিবপুরে রাম নবমীর মিছিলে হামলা পরবর্তী হিংসার কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়ে তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার সেই মামলার শুনানি শেষ হয়। শুনানির শেষ দিনে পুলিশের ভূমিকায় চরম অসন্তোষ প্রকাশ করল আদালত। এদিন শুনানি চলাকালীন পর্যবেক্ষণে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, এই ঘটনায় হাওড়া সিটি পুলিশের তরফে যে রিপোর্ট আদালতে জমা পড়েছে তাতে স্পষ্ট যে ব্যাপক অশান্তি হয়েছে। প্রতি বছর একই ঘটনা ঘটলেও তা রুখতে ব্যার্থ পুলিশ। কাদের ষড়যন্ত্রে এই ঘটনা বার বার ঘটছে তা খুঁজে বার করা পুলিশের কম্মো নয়। বাইরে থেকে আক্রমণ হলে ইন্টারনেট বন্ধ হয় কিন্তু মিছিলে হামলা হলে ইন্টারনেট বন্ধ হয় না কেন? বোমাবাজি, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের মতো ঘটনা সমাজজীবনে সন্ত্রাস সৃষ্টি করে। পুলিশের রিপোর্টে লেখা আছে মিছিলে মারাত্মক অস্ত্র ছিল। কী এই মারাত্মক অস্ত্র, জানতে চায় আদালত। জবাবে রাজ্য সরকারের আইনজীবী বলেন, হকি স্টিক, তলোয়ার ও আগ্নেয়াস্ত্র দেখা গিয়েছে রাম নবমীর মিছিলে।এদিন হাওড়ার পুলিশ কমিশনারের দেওয়া রিপোর্ট নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবী। তিনি বলেন, রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে মিছিলের পুলিশি অনুমতি ছিল না। অথচ মিছিল আয়োজনের জন্য সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি আদালতে জমা পড়েছে। প্রশ্ন হল, যারা মিছিলের অনুমতি দিয়ে অস্বীকার করছে তারা ঘটনার কী তদন্ত করবে সহজেই বোঝা যায়।এদিন আদালত রাজ্যকে প্রশ্ন করে, এই ধরণের ঘটনা রোজ ঘটছে। রাজ্য সরকার তা রোখার জন্য কী করছে? কেন আদালতের নির্দেশ মানেনি রাজ্য সরকার? হনুমান জয়ন্তী নিয়ে রাজ্য বলে, আদালতের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। একটি ঘটনা ছাড়া প্রত্যেক জায়গায় আদালতের নির্দেশ মেনে মিছিলের রুট ঠিক করা হয়েছে।