কংগ্রেসের সদর দফতরে ভাঙচুরের ঘটনায় নয়া মোড়। এবার গ্রেফতার করা হল বিজেপি নেতা রাকেশ সিংহের ছেলে শিবম সিংহকে। ইতিমধ্যেই রাকেশ ঘনিষ্ঠ তিন জন বিজয়প্রসাদ ধানুক, সন্তোষকুমার রাজভর এবং দিব্যেন্দু সামন্তকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে। শনিবার দুপুরে রাকেশ সিংহের বাড়িতেও তল্লাশি চালায় এন্টালি থানার পুলিশ। তবে বিজেপি নেতার খোঁজ মেলেনি।
আরও পড়ুন: বিহারে মোদীকে নিয়ে কুকথা, কলকাতায় কংগ্রেস দফতরে তাণ্ডব বিজেপি কর্মীদের
শিবমকে গ্রেফতারের পর থেকেই কার্যত বিস্ফোরক ভঙ্গিতে সামনে এসেছেন রাকেশ সিংহ। সমাজমাধ্যমে তিনি সরাসরি কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, তাঁকে ধরতে না পেরে তাঁর ছেলেকে হেনস্থা করে গ্রেফতার করা হয়েছে। এমনকি, তাঁর স্ত্রী ও কন্যার সঙ্গেও পুলিশ দুর্ব্যবহার করেছে বলে দাবি রাকেশের। শুধু তাই নয়, তিনি প্রকাশ্যেই কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন, শিবমের গ্রেফতারির বিরুদ্ধে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হবেন।
ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার সকালে। সকাল সওয়া ১১টা নাগাদ। অভিযোগ, রাকেশ সিংহের নেতৃত্বে বিজেপির পতাকা হাতে একদল সমর্থক বিধান ভবনে অবস্থিত প্রদেশ কংগ্রেস দফতরে ঢুকে পড়েন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন বিজেপি নেতা প্রতীক পান্ডেও। এর আগে লাইভে এসে রাকেশ প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছিলেন, যা ঘটবে, এর পর গোটা দেশেই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে এমন প্রতিবাদ দেখা যাবে। সেই ঘোষণা মতোই, প্রথমে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ছবিতে কালি লেপে দেন সমর্থকরা। তারপর দফতরে ঢুকে ভাঙচুর চালানো হয়।
কংগ্রেসের অভিযোগ, সে সময়ে দফতরে খুব বেশি কর্মী উপস্থিত না থাকায় সুযোগ নিয়ে তাণ্ডব চালায় বিজেপি সমর্থকরা। গেটের সামনে কংগ্রেস নেতাদের ছবি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়, পুড়িয়ে দেওয়া হয় পতাকা। ঘটনায় দ্রুতই রাকেশ সিংহের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে এন্টালি থানার পুলিশ। অস্ত্র আইনও সেই মামলার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। উল্লেখ্য, গত বুধবার বিহারের দ্বারভাঙায় ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’ চলাকালীন কংগ্রেসের এক সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর প্রয়াত মা-কে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করেন এক তরুণ। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই উত্তেজনা ছড়ায়। অভিযোগ, তারই জেরে কলকাতায় কংগ্রেস দফতরে এই হামলার ঘটনা ঘটে।