বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Bikash Sinha Passes Away: জনতার যুক্তির আঁচে পরমাণুকে যাচাই করতে যান তিনি, বাংলার ‘ওপেনহাইমার’ বিকাশ সিংহ
পরবর্তী খবর
Bikash Sinha Passes Away: জনতার যুক্তির আঁচে পরমাণুকে যাচাই করতে যান তিনি, বাংলার ‘ওপেনহাইমার’ বিকাশ সিংহ
3 মিনিটে পড়ুন Updated: 11 Aug 2023, 04:58 PM ISTChiranjib Paul
পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপণের বিরুদ্ধে যখন আন্দোলন হচ্ছে, এর বিপক্ষে জনমত তৈরি করতে মাঠে নেমেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী সুজয় বসু। তখন আর চুপ করে বসে থাকেননি বিজ্ঞানী বিকাশ সিংহ। তিনি কলম ধরেছেন।
বিজ্ঞানী বিকাশ সিংহ
বিকাশ সিংহ (১৯৪৫-২০২৩)
পরমাণু বিষয়টি বরাবরই বড় বিড়ম্বনায় ফেলেছে সিপিএমকে। ২০০৮ সালে ইউপিএ সরকার থেকে বেরিয়ে আসার কারণ ছিল ভারত-আমেরিকা পরমাণু চুক্তি। তার পর রাজ্যে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপণ নিয়েও অস্বস্তিতে পড়তে হয় তৎকালীন বাম সরকারকে। প্রথমে সুন্দরবনে পরে পশ্চিম মেদিনীপুরের হরিপুরে। প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করেন বিজ্ঞান ও পরিবেশকর্মীরা এবং স্থানীয় মানুষ। এই প্রতিবাদ শুধু মাঠে-ময়দানে নয়, চলে বৌদ্ধিক স্তরেরও। ভাল-মন্দ নিয়ে বৌদ্ধিক স্তরের চর্চায় যে দু’জন বিজ্ঞানী অগ্রণী ভূমিকা নেন তাঁদের মধ্যে একজন হলেন সুজয় বসু এবং অন্য বিকাশ সিংহ। প্রথমজন পরমাণু বিদ্যুতের বিপক্ষে দ্বিতীয় জন বিপক্ষে। প্রথম জন আগেই প্রয়াত হয়েছেন। শুক্রবার চলে গেলেন বিকাশ সিংহ।
বিজ্ঞানীর কাজ কী? শুধু কি গবেষণাগারে বসে নিরন্তর গবেষণা করে যাওয়া? বিকাশ সিংহের কাছে এই প্রশ্ন করা হলে তিনি নিশ্চিত ভাবে বলতেন না। যে মানব সমাজের অগ্রগতির জন্য বিজ্ঞানী গবেষণা করছেন, তাঁর কাজ সম্পর্কে মানুষকে ধারণা দেওয়া। জনতার বোধগম্য করে বিষয়টিকে রাখা।
পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপণের বিরুদ্ধে যখন আন্দোলন হচ্ছে, এর বিপক্ষে জনমত তৈরি করতে মাঠে নেমেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী সুজয় বসু। পাল্টা কলম ধরেছেন বিজ্ঞানী বিকাশ সিংহ। সাধারণ মানুষের মতো করে বোঝাচ্ছেন, কেন পরমাণু বিদ্যুতের প্রয়োজন। সেমিনারে যাচ্ছেন। বক্তব্য রাখছেন। বিপক্ষের যুক্তিতে পর্যুদস্ত হচ্ছেন। পাল্টা যুক্তি তুলে ধরছেন।
দরকার ছিল কি? তিনি তখন গবেষণা সংস্থার মাথায় বসে আছেন। তার জন্য প্রয়োজন কি এসব করার। সফল ভাবে প্রকল্প রূপায়ন যাতে হয় তার দায় তো সরকারের। তাঁর কেন কলম ধরার প্রয়োজন? তিনি তো মুখপাত্র নন। তবু তিনি ধরেছেন। বিজ্ঞানী হিসাবে তিনি যেটাকে সঠিক মনে করেন তার পক্ষে।
এই বৌদ্ধিক লড়াইয়ের একটা উল্টো দিকও আছে। এতে মানুষ শিক্ষিত হয়। পক্ষে-বিপক্ষের যুক্তিতে না জানা অনেক কিছু জানতে পারে। ক্রমশ বিরল হচ্ছে এই সব প্র্যাকটিস।