গরিব মানুষের বাড়ির কাজ শুরু করতে না পারা নিয়ে ঘনিষ্ঠমহলে ইতিমধ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর তথ্য কেন্দ্রের কাছে জমা দেওয়ার জন্যই অর্থ পেতে জটিলতা হচ্ছে। টাকা এলেই যাতে বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করে দেওয়া যায়।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা।
আবাস যোজনার টাকার বদলে কেন্দ্র থেকে এসেছিল পত্রাঘাত। ঠিক তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মোদী সরকারের সেই চিঠির জবাব দিল নবান্ন। এমনকী কেন্দ্রীয় সরকারের তোলা যাবতীয় প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দিয়ে অবিলম্বে টাকা ছাড়ার অনুরোধ জানানো হল। এই টাকা ছাড়া না হলে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে গ্রামবাংলার অর্থনীতি অভূতপূর্ব সংকটের মুখে পড়বে। সেটাও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যে এসেছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল।
নির্দেশিকা অনুযায়ী, চলতি অর্থবর্ষ শেষ হওয়ার আগেই শেষ করতে হবে আবাস প্লাসের ১১ লক্ষ বাড়ি তৈরির কাজ। তবে এখনও পর্যন্ত ১০০ দিনের কাজের টাকা এই আর্থিক বছরে বরাদ্দই করা হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকার শুধু শর্ত দিয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শর্ত পূরণ করা হলেও রাজ্যের কাছে টাকা পৌঁছয়নি। শুক্রবার আসে আবারও চিঠির ধাক্কা। প্রায় ৪৯৩ পাতার। তাতে আবাস, ১০০ দিনের কাজ এবং সড়ক যোজনা সংক্রান্ত নানান অভিযোগের উল্লেখ রয়েছে। তারই পাল্টা চিঠিতে উত্তর দিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করল নবান্ন।