কারও রয়েছে বিএমডব্লিউ গাড়ি, আবার কারও আছে মার্সিডিজ। পোর্সে, অডি, ল্যান্ড রোভার, জাগুয়ারের মতো দামি গাড়ি রয়েছে। এই গাড়ির মালিকের তালিকায় রয়েছেন শিল্পপতি, কোটিপতি নায়ক-নায়িকা, চিকিৎসক বা আইনজীবী। অথচ দিনের পর দিন কর ফাঁকি দিয়েই চলছে তাঁদের গাড়ি। পরিবহণ দফতরের একটি গোপন রিপোর্টে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। তা দেখে কার্যত চক্ষু চড়কগাছ আধিকারিকদের। রিপোর্ট অনুযায়ী, ৬০ লক্ষ টাকা থেকে ১ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা দামের এরকম ১,৯৩১টি ভিআইপি গাড়ি রয়েছে যেগুলির দীর্ঘদিন ধরেই কর না মিটিয়ে রাস্তায় চালাচ্ছেন মালিকরা। এই অবস্থায় কর আদায় করতে তৎপর হয়েছে পরিবহণ দফতর। প্রয়োজন হলে সে ক্ষেত্রে কড়া পদক্ষেপ করতে পারে পরিবহণ দফতর।
আরও পড়ুন: পলিউশন সার্টিফিকেট পেতে কী করতে হবে? বড় সিদ্ধান্ত জানাল পরিবহণ দফতর
পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই গাড়িগুলির বকেয়া কর ৭০ কোটি টাকার বেশি। তা সত্ত্বেও কর খেলাপি গাড়িগুলি শহরের রাস্তায় নির্দিধায় চলছে. ইতিমধ্যেই এ নিয়ে অভিযানে নেমেছে পরিবহণ দফতরের মোটর ভেহিকেল ইনসপেক্টররা (এমভিআই)। তারা রাস্তাতেই ট্যাক্সের জন্য আবেদন জানাচ্ছেন। এমনকী গাড়িগুলি আটক পর্যন্ত করা হচ্ছে । কিন্তু তারপরও গাড়ি সরানোর কোনও প্রবণতা দেখা যাচ্ছে না গাড়ির মালিকদের মধ্যে। যার ফলে দিনের পর দিন গাড়িগুলি পড়ে থাকছে পরিবহণ দফতরের অফিসে।
জানা গিয়েছে, টলিউডের এক নায়িকার গাড়িও প্রায় এক মাস ধরে পড়ে রয়েছে। সেক্ষেত্রে প্রায় ১২ লাখ টাকা কর বকেয়া রয়েছে ওই অভিনেত্রীর। এক মাস ধরে গাড়িটি পড়ে রয়েছে। কিন্তু, তিনি কর মেটাচ্ছেন না। সম্প্রতি নবান্ন এ নিয়ে রিপোর্ট তলব করে জানতে পারে এই সমস্ত গাড়িগুলি প্রতি ৫ বছর কর না মিটিয়েও রাস্তায় চলছিল। এ প্রসঙ্গে পরিবহণ দফতরের আধিকারিকদের মতে, সাধারণ গাড়ির মালিকদের ক্ষেত্রে কর মেটানোর প্রবণতা থাকলেও দামি গাড়ির মালিকদের সেই প্রবণতা দেখা যায় না। আবার পুলিশ বা মোটর ভেহিকেল ইনস্পেক্টররা এই গাড়িগুলি ধরতে ইতস্তত বোধ করেন।