Kolkata Tangra Case Update: বাড়িতে পাওনাদারদের (Money Lenders) আনাগোনা লেগে থাকত মাঝে মধ্যেই। ট্যাংরায় দুর্ঘটনা ঘটার দিনই দে বাড়িতে এসে উপস্থিত হয়েছিলেন এক পাওনাদার মনোজ গুপ্ত। এবার পাওনাদারদের নিয়েই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন প্রণয়-প্রসূন। হাসপাতাল সূত্রের খবর, এক ভাই নাকি জানিয়েছেন, পাওনাদাররা অধিকাংশ সময় বাড়ির ভিতর ঢুকে পড়তেন। বউ-মেয়েদের নিয়ে হুমকি দিতেন (Rape Threat)। দে ব্রাদার্সের যুক্তি, সে কারণেই সকলে মিলে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা।
আত্মহত্যায় প্ররোচনা?
হাসপাতাল কর্মী বা চিকিৎসকদের বলা এই কথা অবশ্য তারা পুলিশি জেরায় বলেছেন কি না, তা এখনও জানা যায়নি। তবে সত্যিই এমন ঘটনা ঘটে থাকলে তা আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার সামিল বলেও গণ্য হতে পারে। সেক্ষেত্রে পাওনাদারদেরও পুলিশি জেরার সম্মুখীন হতে হবে।
আরও পড়ুন - HT Bangla Exclusive: ‘কী এমন হল যে বাচ্চা মেয়েটাকেও ছাড়ল না?’ ট্যাংরাকাণ্ডে আতঙ্কিত পড়শি শিপ্রা
আরও পড়ুন - HT Bangla Exclusive: ছয় ব্যবসা ছিল দুই ভাইয়ের, সবেতেই লস? ট্যাংরার ৩ মৃত্যুর পিছনে কি আদৌ আর্থিক অনটন, তদন্তে HT বাংলা
কেন পুলিশকে জানানো হল না?
তবে এমন স্বীকারোক্তি আরও বেশ কিছু প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। প্রাথমিকভাবে বড় প্রশ্ন, পাওনাদাররা যদি এমন হুমকি দিয়ে থাকেন, তবে সে কথা পুলিশকে কি জানানো হয়েছিল? পুলিশকে জানানো হয়ে থাকলে কী ব্যবস্থা নিয়েছিল পুলিশ? যদি পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ দায়ের না হয়ে থাকে, তবে কেন অভিযোগ করলেন না দুই ভাই? কেনই বা নিরাপত্তা চাননি? আপাতত গোটা বিষয়টিই তদন্তসাপেক্ষ।
আরও পড়ুন - HT Bangla Exclusive: ‘মহিলা বলে ব্যবসার মধ্যেই…’ ট্যাংরাকাণ্ডে দুই ভাইপোকে নিয়ে বিস্ফোরক নমিতা দে
আরও পড়ুন - HT Bangla Exclusive: আজই ছাড়া পাবেন না ট্যাংরাকাণ্ডে হাসপাতালে ভর্তি দুই ভাই ও নাবালক, খবর সূত্রের
নাবালক পুত্রকে বাঁচানোর চেষ্টা না হত্যার?
প্রসঙ্গত, এই দুই ঘটনায় বড় সাক্ষীর ভূমিকা পালন করতে পারেন বাড়ির নাবালক পুত্র। বর্তমানে সে ভর্তি রয়েছে হাসপাতালে। তাকেও জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। তবে হাসপাতাল সূত্রের খবর, তার হাতে একটি ধারালো অস্ত্রের দাগ পাওয়া গিয়েছিল। ওই দাগ দেখে মনে করা হচ্ছে, তাকেও মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু সে চেষ্টায় অসফল হন দুই ভাই। তখন গাড়িতে নিজেদের সঙ্গে যেতে বলেন।
সিসিটিভি ফুটেজ যা বলছে
অন্য এক পুলিশি জেরায়, আবার এই দুই ভাইই জানিয়েছেন, ছেলেটিকে তারা নামিয়ে দিতে চান। দুর্ঘটনা ঘটার ঠিক আগের মুহূর্তে ছেলেটিকে নেমে যেতে বলেন। কিন্তু সে রাজি হয়নি। যদি ছেলেটিকে বাঁচানোর পরিকল্পনা থেকে থাকে, তাহলে কেন গাড়িতে বসানো হল, সে নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজে গাড়ির সামনের সিটে বসেছিল ছেলেটি। অর্থাৎ যেখানে বসলে এই ধরনের দুর্ঘটনায় আহত বা প্রাণহানি হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকে। ছেলেটিকে বাঁচানোর চেষ্টা হলে ওখানে বসতে বাধা দেওয়া হল না কেন, সে প্রশ্নও রয়ে যায়।