টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন কলকাতা। যাদবপুর, পার্কসার্কাস, তারাতলা, একবালপুর, ভবানীপুর, বালিগঞ্জ, কালিকাপুর, গড়িয়া সহ দক্ষিণ কলকাতার বহু জায়গা জলমগ্ন। একই ছবি উত্তরেও। তবে গতকাল তুলনায় দক্ষিণ কলকাতাতেই বেশি বৃষ্টি হয়েছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, গতরাতে কামডহরিতে(গড়িয়া) ৩৩২ মিলিমিটার, যোধপুর পার্কে ২৮৫ মিলিমিটার, কালিঘাটে ২৮০.২ মিলিমিটার, তপসিয়ায় ২৭৫ লিমিমিটার, বালিগঞ্জে ২৬৪ মিলিমিটার, চেতলায় ২৬২ মিলিমিটার, মোমিনপুরে ২৩৪ মিলিমিটার, কুদঘাটে ২০৩.৪ মিলিমিটার, পাগলাডাঙ্গায় (ট্যাংরা) ২০১ মিলিমিটার, কুলিয়ায় (ট্যাংরা) ১৯৬ মিলিমিটার, চিংড়িহাটায় ২৩৭ মিলিমিটার, পামার বাজারে ২১৭ মিলিমিটার, ধাপায় ২১২ মিলিমিটার, সিপিটি ক্যানেলে ২০৯.৪ মিলিমিটার, উল্টোডাঙ্গায় ২০৭ মিলিমিটার, ঠনঠনিয়ায় ১৯৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। (আরও পড়ুন: '...পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে', পুজোর আগে জমা জল নিয়ে অকপট কলকাতা পুরসভা)
আরও পড়ুন: টানা বৃষ্টিতে শিয়ালদা থেকে বহু রুটে বন্ধ লোকাল, বাতিল ট্রেন, ব্যাহত মেট্রো চলাচল
কলকাতা ছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া এবং হুগলিতেও এই বৃষ্টিপাতের প্রভাব পড়েছে। এদিকে আজও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি (৭০ মিলিমিটার থেকে ২০০ মিলিমিটার) হতে পারে। তাই কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, কলকাতা, পূর্ব বর্ধমান, হাওড়া এবং হুগলিতে ভারী বৃষ্টি (৭০ মিলিমিটার থেকে ১১০ মিলিমিটার) হতে পারে। তাই ওই সাতটি জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। (আরও পড়ুন: দুর্যোগের ঘন কালো মেঘে ঢাকা কলকাতার আকাশ, পরপর মৃত্যু বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে)
উল্লেখ্য, ২২ সেপ্টেম্বর ভোরেই উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন এলাকার উপরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়। এদিকে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার পূর্ব-মধ্য এবং সংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগরের আরও একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। সেই সিস্টেমটি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে শুক্রবার (চতুর্থ) দক্ষিণ ওড়িশা ও উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল বরাবর উত্তর-পশ্চিম ও সংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপরে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। (আরও পড়ুন: রাতভর অবিরাম বর্ষণে ডুবল কলকাতা, পুজোর মুখে চরম দুর্যোগ, আজও হবে ভারী বৃষ্টি)