গত কয়েকদিন ধরে কলকাতার পার্কস্ট্রিট-সহ বেশ কিছু এলাকা থেকে একের পর এক চুরি হয়ে যাচ্ছিল বাইক। কিন্তু, কোনওভাবেই বাইক চোরকে ধরতে পারছিল না পুলিশ। শেষপর্যন্ত বাইক চুরির ঘটনায় সাফল্য পেল পুলিশ। কিন্তু, বাইক চোরের নেশার কথা জানতে পেরে তাজ্জব তদন্তকারীরা। আসলে বাইক চুরি করে বিক্রি নয়, শহরের রাস্তায় সেই বাইকে চড়ে ঘুরে বেড়ানোই ছিল চোরের নেশা। আর তেল ফুরিয়ে গেলেই আবার অন্য বাইক চুরি করত চোর। পার্কস্ট্রিট থানা এলাকা থেকে বাইক চোর ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ক্যানসারে আক্রান্ত বন্ধুর স্ত্রী, টাকা জোগাড় করতে বাইক চুরি, হতবাক পুলিশ
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, বাইক চুরির পর সেগুলি বিক্রি করত না ওই যুবক। আসলে যতক্ষণ বাইকে তেল থাকত, ততক্ষণ সেই বাইক নিয়ে শহরের বিভিন্ন রাস্তায় ‘জয়রাউড’ করে বেড়াত। আর যেখানেই তেল শেষ হয়ে যেত সেখানেই বাইক রেখে দিয়ে আবার অন্য বাইকের খোঁজে বেরিয়ে পড়ত চোর। ধৃত যুবকের নাম দীপক উকিল। বুধবার রাতে পার্কস্ট্রিট থানার রফি আহমেদ কিদোয়াই রোড থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, ধৃত যুবক দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরের পৈলান চকের বাসিন্দা। ধৃতকে আদালতে তোলা হলে তাকে ৭ দিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, এক মাসে ১৫ টি বাইক চুরি করেছে সে। মূলত পার্কস্ট্রিট, ভবানীপুর, রিজেন্ট পার্ক, মুচিপাড়া, টালিগঞ্জ প্রভৃতি থানা এলাকা থেকে বাইক চুরি করত সে।গত ২০ এপ্রিল পার্কস্ট্রিট থানা এলাকায় একটি বাইক চুরি হয়ে যায়। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ওই যুবককে গ্রেফতার করে।
জানা গিয়েছে, পুলিশের কাছে খবর আসে বুধবার এক যুবক রফি আহমেদ কিদোয়াই রোডে একটি মোটরবাইক চুরির চেষ্টা করছিল। তখন টহলদারি পুলিশের দল তাকে প্রথমে আটক করে। এরপর জিজ্ঞাসাবাদ করতেই পুলিশ জানতে পারে শহরের একাধিক জায়গা থেকে বাইক চুরির সঙ্গে জড়িত রয়েছে দীপক। এরপরই জেরায় এক মাসে ১৫টি বাইক চুরির কথা স্বীকার করে ওই যুবক। এছাড়াও আগেও একাধিক বার বাইক চুরির জন্য পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে ওই যুবক। ধৃত জানিয়েছে, সে চুরি করা বাইক বিক্রি করত না। তেল ফুরিয়ে গেলে সেই বাইক রেখে দিয়ে আবার অন্য বাইক চুরি করত। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইতিমধ্যেই দু’টি বাইক উদ্ধার করেছে পুলিশ। বাকি বাইকগুলির উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।