দিল্লি পুলিশের ‘বাংলাদেশি ভাষা’ চিঠি নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপিকে ‘বাঙালি বিরোধী’ বলে অভিযুক্ত করছে। ঠিক তখনই কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম শুক্রবার ব্যবসায়ী ও হোটেল মালিকদের কড়া সতর্কবার্তা দিলেন। সাইনবোর্ডে বাংলা লেখা অবশ্যই বড় আকারে ও স্পষ্টভাবে থাকতে হবে। এখনও পর্যন্ত যে সমস্ত ব্যবসায়ী এবং মালিকরা এই নির্দেশ মানেননি সে সমস্ত জায়গায় বোর্ড সরিয়ে ফেলবে কলকাতা পুরসভা
আরও পড়ুন: শহরের ১৩টি পুর বাজারে ফায়ার অডিট শেষ, রিপোর্ট পেলেই পদক্ষেপ করবে KMC
সংবাদমাধ্যমের সামনে হাকিম বলেন, পুরসভা আগেই সমস্ত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে সাইনবোর্ডে বাংলা অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু অনেকেই তা মানছেন না। বড় হোটেলসহ কিছু মালিক কেবল ছোট আকারে বা প্রতীকীভাবে বাংলা লিখে দায় সেরেছেন। তাঁর কথায়, এতে কাজ হবে না। হাকিম স্পষ্ট ভাষায় বলেন, বাংলা লেখা এমনভাবে থাকতে হবে যাতে তা সহজে চোখে পড়ে। বাংলাকে ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি দেওয়ার পর ২০২৪ সালের অক্টোবরে প্রথম এই নিয়ম চালু করে পুরসভা। দোকান, রেস্তোরাঁ ও অন্যান্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে অন্য ভাষার পাশাপাশি বাংলা ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়। এর আগেও, ২০০৭ সালে তৎকালীন মেয়র বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য ব্যবসায়ীদের একই ধরনের আহ্বান জানিয়েছিলেন।
পুরসভার এই সর্বশেষ পদক্ষেপ এসেছে সাম্প্রতিক এক বিতর্কের প্রেক্ষাপটে। বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, আসলে বাংলা বলে কোনও ভাষা নেই। তৃণমূল এই বক্তব্যকে ‘ভাষাগত বর্ণবাদ’ এবং সাংবিধানিক মূল্যবোধের উপর আঘাত বলে নিন্দা করেছে। দলের দাবি, বাংলা কেবল সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত নয়, বরং এটি ভারতের দ্বিতীয় সর্বাধিক কথ্য ভাষা।মালব্যের মন্তব্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। অসংখ্য বাঙালি তাদের ভাষার সাংস্কৃতিক ও সাংবিধানিক মর্যাদা রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন এবং জনসমক্ষে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুলেছেন।