মধ্যরাতে আরজি কর মেডিক্যালে তাণ্ডবের মধ্যেই বিস্ফোরক দাবি করলেন হাসপাতালের নার্সিং সুপার। বুধবার রাতে দুষ্কৃতী ভাঙচুর চালানোর পর ফের আসবে বলে হুমকি দিয়ে গিয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন - চিকিৎসক খুনে অভিযুক্তের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে অস্বীকার চিকিৎসকদের, বিপাকে CBI
পড়তে থাকুন - 'সন্তানের জন্ম দেওয়ার ১৪ দিনের মাথায় স্ত্রীর পেটে লাথি মেরেছিলেন সন্দীপ ঘোষ'
নার্সিং সুপার বলেন, ‘এমারজেন্সি বিভাগের কর্মীরা এতটাই নিরাপত্তাহীন ছিলেন যে ভয়ঙ্কর উন্মত্ত লোকজন যখন ছুটে আসছে তখন পুলিশ তাদের বলেছে, দিদি আপনারা পালান। ওদের সঙ্গে এমারজেন্সির পুলিশও পালিয়েছে। ওরা দৌড়তে দৌড়তে ছ’নম্বর গেট দিয়ে অন ডিউটি ড্রেস পরা অবস্থায় মাঝরাতে আমার অফিসে আশ্রয় নিয়েছে।’
নিজের নিরাপত্তাহীনতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি কাকে নিরাপত্তা দেব? আমার নিজেরই তো নিরাপত্তা নেই। উন্মত্ত জনতা ওপরে চলে গেছে। ENT বিভাগের দরজা ভাঙচুর করেছে। প্রতি মুহূর্তে সমস্ত ওয়ার্ড থেকে কর্মীরা জানাচ্ছেন আমরা খুন অসুরক্ষিত। দুষ্কৃতীরা জানলা বেয়ে উঠেছে। বলছে, আজকে দেখে গেলাম। কালকে এসে যা করার করে দিয়ে যাব। আমি আর কথাটা উচ্চারণ করলাম না। আমি কর্মীদের কোনও নিরাপত্তা দিতে পারছি না। এজন্য আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত।’
হামলার পিছনে পরিকল্পনা রয়েছে বলে দাবি করে তিনি বলেন, ‘এরকম যে হবে তার আঁচ পাইনি। কিন্তু পরিকল্পনা না হলে এত মানুষ কী ভাবে একসঙ্গে আসে?’
আরও পড়ুন - 'পাওয়ারফুল' সন্দীপ, মদ খাইয়ে হাতে রাখতেন জুনিয়রদের, বিস্ফোরক এক্স ডেপুটি সুপার
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের এমারজেন্সি বিল্ডিংয়ে বেলাগাম ভাঙচুর চালায় কয়েক হাজার দুষ্কৃতী। হাসপাতালের ভিতরে বাইলে প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালায় তারা। ভাঙচুর করা হয় এমারজেন্সি, ইএনটিসহ একাধিক বিভাগ। তবে চার তলার যে ঘরে মহিলা চিকিৎককে খুন করা হয়েছিল সেটি অক্ষত রয়েছে বলে জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ।