
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
কয়েকদিন আগেই মহম্মদ ইমতিয়াজ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। এই মহম্মদ ইমতিয়াজ ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া থেকে এই রাজ্যে আগ্নেয়াস্ত্র পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়ে সিঁথির মোড় থেকে। এবার তাকে জেরা করে জামতাড়ার অস্ত্র কারখানার আঁতুড়ঘরে পৌঁছে গেল। মাটির নীচে গোপন অস্ত্র কারখানার হদিস পেল কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র এবং অস্ত্র তৈরির কাঁচামাল উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, কার্বাইন–সহ চারজনকে গ্রেফতার করেছিল এসটিএফ। তাদের মধ্যে মহম্মদ ইমতিয়াজ মুঙ্গেরের অস্ত্র কারবারি। তার ছেলে মহম্মদ সাহিল মালিক এবং দুই সঙ্গী ইন্দ্রজিৎ শর্মা ও ভিকি প্রসাদকেও গ্রেফতার করা হয়েছিল। এদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই গোপন অস্ত্র কারখানার হদিস পাওয়া যায়। মহম্মদ ইমতিয়াজ বিহারের বাসিন্দা।
ঝাড়খণ্ডের কোথায় অস্ত্র তৈরি হতো? ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা শাহজাহান খানের বাড়ির নীচে সুড়ঙ্গের মতো একটি ব্যবস্থা করা ছিল। সেখানে অস্ত্র তৈরি করা হতো। জামতাড়া জেলার মিহিজাম এলাকায় এই অস্ত্র কারখানার খোঁজ পায় কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে ৭টি অসমাপ্ত পিস্তল পাওয়া গিয়েছে। আর কার্বাইন, পিস্তল এবং অন্যান্য অস্ত্র তৈরির কাঁচামাল, যন্ত্রপাতিও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। তবে ওই চারজনের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকার জাল নোট পাওয়া গিয়েছিল।
আর কী জানা যাচ্ছে? এসটিএফ সূত্রে খবর, ধৃতদের থেকে অত্যাধুনিক কার্বাইন, দু’টি ম্যাগাজিন, ১০টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৫০ হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার হয়েছিল। এদের কলকাতার নগর দায়রা আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। আর তাদেরকে জেরা করেই ঝাড়খণ্ডে গোপন অস্ত্র কারখানার হদিস মিলল।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports