Madhyamik & HS Exam 2024 news: মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার খাতা আলাদা আলাদা শিক্ষক দেখুক। এমনটাই দাবি উঠল এবার। পর্ষদকে এই নিয়ে চিঠি দিল শিক্ষকদের একাংশ।
পর্ষদকে চিঠি শিক্ষকদের
ভোটের কারণে এগিয়ে এসেছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। রুটিনের চাপে জেরবার হতে পারে শিক্ষকদের আগামী বছরের গোড়া। তাই এবার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার খাতা আলাদা আলাদা শিক্ষকদের দেওয়ার দাবি উঠল। এই নিয়ে শিক্ষকদের একাংশ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদকে চিঠি দিলেন। চিঠির দাবি, যে শিক্ষকরা মাধ্যমিকের খাতা দেখবেন, তাঁদের যেন উচ্চমাধ্যমিকের খাতা না দেওয়া হয়। একই ভাবে যাঁরা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার খাতার দায়িত্বে আছেন, তাঁদের যেন মাধ্যমিকের খাতা দেওয়া না হয়।
শিক্ষকদের কথায়, খুব কম সময়ের মধ্যে এই দুই গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার খাতা দেখতে হয়। পরীক্ষার খাতা আলাদা আলাদা শিক্ষকদের দিলে দুই পরীক্ষার খাতার মূল্যায়ন অনেক ভালো হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার মধ্যে সাধারণত ১৫ থেকে ২০ দিনের ব্যবধান থাকে। এখন মাধ্যমিকের খাতা পাওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই শিক্ষকেরা উচ্চ মাধ্যমিকের খাতা পেতে শুরু করেন। সেই সঙ্গে থাকে একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে ওঠার পরীক্ষার খাতাও। প্রায় একই সময় সেগুলি তাঁদের দেখতে হয়। শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, একই শিক্ষকেরা প্রতি বছর মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের খাতা দেখছেন। অনেক শিক্ষক কোনও খাতাই দেখছেন না। এ রকম হওয়া বাঞ্ছনীয় নয়। সমস্ত শিক্ষককেই খাতা বণ্টন করতে হবে। এমনটা জানিয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষকদের একাংশ বলছেন, কয়েকটি বিশেষ কারণে শিক্ষকদের একাংশকে মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিকের খাতা দেখতে দেওয়া হয় না। কোনও শিক্ষকের ছেলে বা মেয়ে যদি মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিলে তাঁদের সেই পরীক্ষার খাতা দেখতে দেওয়া হয় না। কিন্তু সেই সংখ্যা একেবারেই নগণ্য।
সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য সংবাদমাধ্যমকে বলেন, শিক্ষক সংগঠনের এই আবেদন সহানুভূতির সঙ্গে দেখা হচ্ছে। কিন্তু আরও কিছু দিক খতিয়ে দেখতে হবে। আলাদা আলাদা করে পরীক্ষার খাতা দেখাতে পর্যাপ্ত পরীক্ষক, প্রধান পরীক্ষক দরকার। তা আছে কি না দেখতে হবে। খাতা দেখার প্রয়োজনীয় যোগ্যতা সব শিক্ষকের থাকে না। সেদিকটাও দেখতে হবে । তার পরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। একই সুর শোনা যায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখে।