নেতাজি ইন্ডোরে ইমাম মুয়াজ্জিনদের সভায় ছিলেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তার একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। অপর একজনের পোস্টকে শেয়ার করেছেন সিপিএম নেতা। সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।
সেই ভিডিয়োতে বলতে শোনা যায়, 'মমতা ব্যানার্জির ডাকে মানুষজন আর আসতে চাইছে না। কারণ এর আগে মমতা ব্যানার্জি ইমাম মোয়াজ্জিনদের ধোঁকা দিয়েছিলেন। মমতা ব্যানার্জি আমাদের ২৬এর ব্রিগেড করতে দেবে না বলে নেতাজি ইন্ডোরে ডেকেছিল। আপনারা দেখুন চেয়ারগুলো খালি। সামনে যারা বসে রয়েছেন তাঁরা সব প্যান্ট শার্ট পরা। আমরা হয়তো জানি না। দেখেন শুধু চেয়ারগুলো ফাঁকা। একই রকম সব টুপি। একই রকম টুপি। দল থেকে টুপি দেওয়া হয়েছে টুপি পরানোর জন্য। নেতাজি ইন্ডোরে ইমামরা বেশি আসেনি। এসেছেন প্যান্ট শার্ট পরা ইমাম মোয়াজ্জিন। বুদ্ধিজীবীদের ডেকেছে, এই সব বুদ্ধিজীবীরা বসে আছেন, তাদের বয়স ১৩ বছর। এরা বুদ্ধি দেবে। ভালো করে দেখেন। সাংবাদিকরা এমন ভাবে দেখাচ্ছেন যেন অনেক মানুষ এসেছেন।' দাবি করা হয়েছে ওই ভিডিয়োতে।
সেই ভিডিয়োতে দেখানো হয়েছে প্রচুর চেয়ার ফাঁকা রয়েছে। সামনে কয়েকজন বসে রয়েছেন। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে আমেরিকা থেকে এসেছেন ইমাম মুয়াজ্জিনরা। আপনারা হাসাহাসি করবেন না।
এদিকে সেই ভিডিয়ো মুখ্য়মন্ত্রী আসার পরে তোলা হয়েছিল কি না সেটা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। তবে ভিডিয়োতে দাবি করা হয়েছে একটি দলের পক্ষ থেকে টুপি দেওয়া হয়েছে। সেকারণে সবারই একই রকম টুপি।
তবে এই ভিডিয়ো কখন তোলা হয়েছে, এই ভিডিয়োর সত্য়তা যাচাই করতে পারেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।
তবে এদিনের সভা থেকে একদিকে কেন্দ্রীয় সরকার, অপরদিকে কংগ্রেসের ঘাড়ে সব দায় চাপিয়ে দেন মুখ্য়মন্ত্রী। সেই সঙ্গে সম্প্রীতির বার্তাও দেন তিনি।
মমতা বলেন, শান্তিতে জীবন যাপন করতে হলে প্রত্যেকেরই প্রত্যেক ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া জরুরি। তিনি বলেন, 'সকল ধর্মের প্রতিই প্রত্যেকের শ্রদ্ধা থাকা উচিত। সব ধর্ম, সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা রাখুক, এটাই আমাদের পরম্পরা।'
সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, ‘বিজেপি বাইরের গুন্ডা নিয়ে এসে গোলমাল করেছে। রামনবমীতে করার পরিকল্পনা ছিল। সেটা করতে পারেনি। তাই এভাবে করেছে। আমি খুঁজে বের করব বিএসএফ কাদের হাত করে এই কাজ করেছে। দেখুন, চন্দ্রবাবু নাইডু ও নীতীশবাবু চুপচাপ বসে আছেন। ক্ষমতার জন্য এসব করছে। ওয়াকফ আইনকে বদল করতে চাইলে সংবিধান সংশোধন করেননি কেন? এটা চালাকি করা হয়েছে। এভাবে হয় না। সংবিধান সংশোধন করলে দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা করতে হতো।’