চোপড়া কাণ্ডে এবার কাঠগড়ায় মহম্মদ সেলিম–অমিত মালব্য, এফআইআর দায়ের নির্যাতিতার

চোপড়া কাণ্ডে এবার নয়া মোড়। ওই ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছিল। যা নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন নির্যাতিতা। এবার সেই অভিযোগকে সামনে রেখে পুলিশের দ্বারস্থ হলেন তিনি। আজ, সোমবার চোপড়া থানায় সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম এবং বিজেপি নেতা অমিত মালব্যর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ওই নির্যাতিতা। আর তাতেই বিপাকে পড়ে গিয়েছেন এই দুই নেতা। এফআইআর দায়ের করেছেন নির্যাতিতা মহিলা। এফআইআরের নথি প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্য–রাজনীতিতে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। ওই মহিলা কি কোনও চাপের মুখে পড়ে এমন এফআইআর দায়ের করেছেন? নির্যাতন যাঁরা করল তাঁদের বিরুদ্ধে কেন এফআইআর হল না? উঠছে প্রশ্ন। এটাই এখন চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে।গত ৩০ জুন চোপড়ার জেসিবির ‘দাদাগিরি’ নিয়ে আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। যেখানে দেখা যায়, মাটিতে ফেলে এক যুবক ও যুবতীকে লাগাতার বেধড়ক মারধর করছে জেসিবি। আর অকুস্থল ঘিরে দাঁড়িয়ে আছেন মহিলা এবং অসংখ্য মানুষজন। কেউ রক্ষা করার জন্য এগিয়ে আসছেন না। বরং ওই যুগলকে পাশবিকভাবে মারধর করা হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করে ছিলেন ওই যুবক–যুবতী। এই বিয়ে করার অপরাধে গ্রামে সালিশি সভা বসানো হয়। যদিও এই ভিডিয়ো’র সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটাল। তবে জেসিবি–কে গ্রেফতার করা হয়।আরও পড়ুন: ‘দুর্ঘটনা এবং প্রাণহানির সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে’, এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট মুখ্যমন্ত্রীরসূত্রের খবর, অমিত মালব্য এবং মহম্মদ সেলিমের বিরুদ্ধে আইটি অ্যাক্ট ৬৬এ/৬৬ই/ এবং ৬৭ এ ধারায় মামলা করেছে পুলিশ। চোপড়ার রাস্তায় ফেলে যুবক–যুবতীকে মারধরের ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে। আর মূল অভিযুক্ত জেসিবিকে গ্রেফতার করে। কিন্তু তারপরও আতঙ্কে ছিল নির্যাতিতার পরিবার। কারণ জেসিবি’র ভাই আলমগির ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা গ্রামে দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল। এই ভিডিয়ো তারপর পোস্ট করেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি লেখেন, ‘সালিশি সভার নাম করে অপরাধের বিচার করে শাস্তি দিচ্ছে তৃণমূলের পোষা গুন্ডা। তার ডাকনাম জেসিবি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে এভাবেই বিচারব্যবস্থা ভেঙে যাচ্ছে চোপড়ায়।’আবার বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যও এই ঘটনা নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন। নির্যাতিতর মা বলেন, ‘যে ভিডিয়ো করেছে, তার আমি শাস্তি চাই। ভাইরাল করে আমার ধর্মটা নষ্ট করেছে।’ ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশ তদন্তে নেমে জেসিবি এবং তার সাঙ্গপাঙ্গকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার প্রতিবাদ করে গত ১ জুলাই চোপড়া থানার দ্বারস্থ হন নির্যাতিতা। মহম্মদ সেলিম এবং অমিত মালব্যর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শান্তনু সেন বলেন, ‘জেসিবি’র কাজ দল বা সরকার সমর্থন করে না। তাই সে গ্রেফতার হয়েছে। আর মহিলা নির্যাতনের ভিডিয়ো ভাইরাল করে যারা উল্লাসিত হয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।’