কলকাতা শহর কিংবা জেলায় পথ দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। তাতে প্রাণ যায় অনেকের। এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার নিয়ে এসেছিল ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ প্রকল্প। যাতে সাধারণ মানুষের প্রাণ অকালে চলে না যায়। তাই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ প্রকল্পের জেরেই পথ দুর্ঘটনা অনেকটা কমেছে বলে আজ, সোমবার জানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আট বছর আগে ৮ জুলাই সাধারণ মানুষের পথ নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের পক্ষ থেকে ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ প্রকল্পের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এবার অষ্টম বর্ষপূর্তির দিন তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে রাজারহাট, সল্টলেক থেকে শুরু করে দক্ষিণ কলকাতা, উত্তর কলকাতায় মাঝে মধ্যে পথ দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। তাতে মানুষের প্রাণ পর্যন্ত যায়। এছাড়া মা উড়ালপুল থেকে শুরু করে এজেসি বোস রোড উড়ালপুলে পথ দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। তা নিয়ে বিরোধীরা রাজনীতিও করেন। সেখানে আজ, সোমবার মুখ্যমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেন। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ আমাদের একটি বিশেষ উদ্যোগ। যার মধ্য দিয়ে আরও ভালভাবে পথ নিরাপত্তার বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করা হয়েছে। আমাদের নিরলস প্রচার অভিযানের ফলে পথ দুর্ঘটনা এবং প্রাণহানির সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এই প্রচার অভিযান এখনও অব্যাহত থাকবে।’
নিজের লেখার সঙ্গে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন মুখ্যমন্ত্রী। যেখানে ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’–এর বার্তা রয়েছে। কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ কেমন করে নিজের জীবন বাজি রেখে মানুষের সেবা করছেন ওই ভিডিয়ো’তে তা দেখানো হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘পথ দুর্ঘটনা কমানোর জন্য পথ নিরাপত্তাকে আমাদের আরও গুরুত্ব দিতে হবে। আমাদের মানুষজনের জীবন বাঁচানোর জন্য সেফ ড্রাইভ সেভ লাইভের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মানুষকে সচেতন করতে হবে’। ২০১৬ সালের ৮ জুলাই দ্বিতীয়বার বাংলার কুর্সিতে বসে ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ কর্মসূচি নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সাধারণ মানুষকে পথ সুরক্ষা এবং সেফ ড্রাইভের বিষয়ে সচেতন করার জন্য এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়। নজরুল মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে এই উদ্যোগ চালু হয়েছিল।
আরও পড়ুন: হাওড়া–ব্যান্ডেল শেষ ট্রেন রওনা দিল গার্ড ছাড়াই! চলন্ত ট্রেনে তারপর ঠিক কী ঘটল?
এখন বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে এবং রাস্তায় সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। তার সঙ্গে রাতে ট্রাফিক পুলিশের টহলদারি ভ্যান থাকে। অত্যাধুনিক সিগন্যাল সিস্টেম করা হয়েছে। আর ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’র আওতায় নজর দেওয়া হয়েছিল— মোটরবাইক চালানোর সময় চালক এবং আরোহীকে বাধ্যতামূলকভাবে হেলমেট পরতে হবে। গাড়ি চালককে অবশ্যই সিট বেল্ট পরবে। মদ্যপান এবং মাদক খেয়ে গাড়ি চালানো যাবে না। প্রত্যেকটি সিগন্যালকে মানতে হবে। ধীর গতিতে গাড়ি চালাতে হবে। হেলমেট ছাড়া গাড়ি চালালে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। বিপজ্জনকভাবে গাড়ি চালালে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হয়।