লকডাউন এর সময় সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়েছিলেন পরিযায়ী শ্রমিকেরা। বিভিন্ন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে সেখানেই আটকে পড়েছিলেন তাঁরা। কাজ হারানোয়, না খাওয়ার সংস্থান ছিল। না আর্থিক সঙ্গতি। হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিককে দিনের পর দিন পায়ে হেঁটে গ্রামের বাড়ি ফিরতে হয়েছিল। আবার এতটা পথ হাঁটতে গিয়ে বিভিন্ন দুর্ঘটনার শিকার হয়ে সেই সময় অনেকেই মারাও গিয়েছিলেন।আবার কতিপয় শ্রমিকেরা সমস্ত গয়না—গাটি বিক্রি করে কোনওমতে ভাড়া জুটিয়ে সুস্থ্যভাবে গ্রামে ফিরতে সক্ষম হয়েছিলেন। তাঁদের এই ‘করুণ দশা’ প্রত্যেক্ষ করেছিল গোটা দেশ। লকডাউনের পর কিছুটা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই আবার পেটের টানে যে যার কর্মস্থলে ফিরেও গিয়েছিলেন।মাঝখানের এই কটা মাস ভালই কাটছিল। কিন্তু বাধ সাধল করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। সমস্ত কিছু ফের উলটপালট করে দিয়েছে এই মারণ ভাইরাস। হু হু করে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। বলাই বাহুল্য, আবারও কাজ হারিয়ে গতবছরের মতোই বিপাকে পড়েছেন লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিকরা। আবারও কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরার তোড়জোড় শুরু করেছেন তাঁরা। এবার গ্রামের বাড়িতে ফিরলেও যাতে অন্নসংস্থান হতে পারে সেজন্য ঘরে ফেরা সেই সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের কর্মসংস্থান করতে তৎপর হল কেন্দ্রীয় সরকার। গত মাসে কলকাতায় এসে এমনই দাবি করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তিনি বলেছিলেনন, ‘ বর্তমানে যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে পরিযায়ী শ্রমিক আবারও কর্মস্থল ছেড়ে বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন। কাউকে যাতে গতবারের মতো পরিস্থিতির শিকার না হতে হয়, সেজন্য পরিযায়ী শ্রমিক দের সাহায্যার্থে বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে কেন্দ্রের।’ তিনি আরও বলেন, ‘মনরেগা, মহাত্মা গান্ধী—সহ গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্প—সহ একগুচ্ছ কর্মসংস্থানমুখী প্রকল্প রয়েছে কেন্দ্রের। এই প্রকল্পগুলিতে এক লক্ষ কোটি টাকা সংস্থান করা হয়েছে।’ তারইমধ্যে অবশ্য ঊর্ধ্বমুখী সংক্রণের জেরে অনেক পরিযায়ী শ্রমিক ভিটেতে ফিরতে শুরু করেছেন।