এখনই শহর কলকাতার বুক থেকে ১৫ বছরের পুরোনো সমস্ত বেসরকারি বাণিজ্যিক যানবাহন উঠে যাচ্ছে না। কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ শর্তসাপেক্ষে এই ধরনের যানগুলিকে শহরের রাস্তায় চলাচলের অনুমতি দিয়েছে।
আদালতের নির্দেশ হল, বয়স ১৫ বছর বা তার বেশি হলেও যেসমস্ত বেসরকারি বাণিজ্যিক যানবাহন যান্ত্রিকেভাবে সুষ্ঠু পরিষেবা দিতে সক্ষম এবং যে গাড়িগুলি চলাচল করলে পরিবেশের কোনও বাড়তি ক্ষতি হবে না, সেগুলি শহরের রাস্তায় চলতে পারবে। তবে, এর জন্য ছ'মাস অন্তর 'ফিটনেট সার্টিফিকেট' পেতে হবে তাদের।
বলা হয়েছে, ১৫ বছর ও তার বেশি বয়সী বাণিজ্যিক গাড়িগুলির স্বাস্থ্য কেমন রয়েছে, তা পরিবেশে অতিরিক্ত দূষণ ছড়াবে কিনা, সেসব জানতেই ছ'মাস অন্তর - অর্থাৎ - বছরে দু'বার ফিটনেস পরীক্ষা করাতে হবে। তাতে পাস করলে দেওয়া হবে ফিটনেস সার্টিফিকেট। সেই সার্টিফিকেট সঙ্গে থাকলে তবেই সেই গাড়ি গণপরিষেবার জন্য রাস্তায় নামানো যাবে। এর জন্য মালিকপক্ষকে প্রত্যেক গাড়ি পিছু ১২,৫০০ টাকা করে খরচ করতে হবে। এছাড়াও, দূষণ পরীক্ষার জন্য অতিরিক্ত ১০০ টাকা দিতে হবে।
উল্লেখ্য, সোমবারই (৯ জুন, ২০২৫) এই বিষয়টি নিয়ে বাস মালিক সংগঠনগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্য পরিবহণ দফতরের কর্তারা। সেখানেই উপরোক্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এবার তাতে আদালতও সায় দিল। বলা হচ্ছে, যাত্রী সাধারণের সুবিধার কথা মাথায় রেখে এবং বেসরকারি বাসমালিকদের স্বার্থরক্ষার্থেই এমন সিদ্ধান্তে সহমত হয়েছিল সবপক্ষ। আদালতও তাতে সায় দেওয়ায় হঠাৎ করে কলকাতার রাস্তায় যানচলাচলের সংখ্য়া কমে যাওয়ার আশঙ্কা আপাতত দূর হল বলেই মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, পরিবেশ রক্ষার স্বার্থেই ইতিপূর্বে পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের অন্য়ান্য রাজ্য থেকে ১৫ বছর ও তার বেশি বয়সী পুরোনো বাণিজ্যিক যান তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল।