সরবরাহকারী সংস্থা খোলা হবে। তখন ওই নয়া সংস্থার এজেন্সি নিয়ে নিজের এলাকায় চুটিয়ে ব্যবসা করতে পারবেন। ব্যবসার ভুয়ো পরিকল্পনায় টাকা হাতানোর এমনটাই ফাঁদ পেতেছিল প্রতারক। সেই ফাঁদে পা দেন বিহারের এক ব্যবসায়ী। ওই ব্যক্তির কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠল কলকাতার জালিয়াতদের বিরুদ্ধে। স্যানিটাইজার-সহ নানা সামগ্রী সরবরাহের নামে ৬২ লক্ষ ৩৭ হাজার টাকার প্রতারণার অভিযোগে নিউ টাউন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে পঙ্কজ জ্ঞানেড়িওয়ালা নামের ওই অভিযুক্তকে। তাকে গ্রেফতার করেছে নিউটাউন থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তিলজলা ও বাগুইআটি থানায় এর আগেও প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। সেই ঘটনায় কুন্দন কুমার নামে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ওই অভিযুক্ত এখন জেল হেফাজতে রয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১২ জুন বিহারের বাসিন্দা বাল্মীকি প্রসাদ নিউটাউন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন যে, গত দু’বছর আগে কুন্দন কুমার-সহ তিন ব্যক্তি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে। অভিযুক্তরা তাঁকে জানায়, সরবরাহকারী সংস্থা খুলে স্যানিটাইজার সহ বিভিন্ন লাভজনক সামগ্রী তৈরি ও সরবরাহ করবে তারা। তখন প্রতারিত ব্যক্তি ওই সংস্থার এজেন্সি নিয়ে নিজের এলাকায় আনায়াসেই ব্যবসা করতে পারবেন। তারপর ২০১৯ সাল থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ওই ব্যবসায়ী দফায় দফায় কখনও ব্যাঙ্কের মাধ্যমে, কখনও নগদ মিলিয়ে মোট ৬২ লক্ষ ৩৭ হাজার টাকা দেন ওই প্রতারকদের। এমনকী, অভিযোগকারী ব্যক্তি বিহারে ব্যবসা করবেন বলে বিপুল পরিমাণে স্যানিটাইজারও অর্ডার দেন জালিয়াতদের। তাঁকে বলা হয় তাদের সংস্থা চালু হয়ে গেলেই মাল পেয়ে যাবেন। কিন্তু অভিযোগ, সংস্থা তো শুরু হয়নি, অভিযোগকারীর যে টাকা নিয়েছিল, সেটাও ফেরত দেওয়া হচ্ছিল না। দিনের পর দিন তাঁকে ঘোরাচ্ছিল অভিযুক্তরা। এমনকী, টাকা ফেরত চাইলে, হুমকিও দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। তিনি প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে এরপর নিউটাউন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কুন্দন কুমারকে এর আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। তদন্তে নেমে বৃহস্পতিবার দুপুরে নিউটাউন এলাকা থেকে পঙ্কজ জ্ঞানেড়িওয়ালাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে আর কে কে জড়িত রয়েছে, তার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।