মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের রসিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান লাভলি খাতুন নিজের পদ হারিয়েছিলেন বাংলাদেশি নাগরিক হওয়ায়। সেই বাংলাদেশি নাগরিক লাভলি এবার কলকাতায় এলেন একুশের সমাবেশে যোগ দিতে। সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তৃণমূলকে তোপ দাগল বঙ্গ বিজেপি। উল্লেখ্য, বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই ভিনরাজ্যে বাঙালিদের হয়রানি নিয়ে সরব তৃণমূল কংগ্রেস। বাংলার শাসক দলের অভিযোগ, বাংলায় কথা বললেই নাকি বাংলাদেশি তকমা দেওয়া হচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিকদের। তবে এর মধ্যে বহু মানুষের কাছ থেকে আধার কার্ড পাওয়া গেলেও জানা গিয়েছে, সেগুলি ভুয়ো বা ঘুরপথে বেআইনি ভাবে সেগুলি বানানো হয়েছে। এই নিয়ে রাজ্যে যখন রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে, তখন একুশের মঞ্চ থেকেও এই নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরব হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। আর সেই একুশের সমাবেশে তৃণমূলের 'বাংলাদেশি নেত্রী' যোগ দেওয়ায় আক্রমণ শানাল বিজেপি। (আরও পড়ুন: মোদীর কালী ভক্তি নিয়ে প্রশ্ন! 'TMC-র মিথ্যাচার' নিয়ে সরব BJP বলল- 'মা সব দেখছেন')
লাভলি খাতুনের একুশের সমাবেশে যোগ দেওয়ার ভিডিয়ো পোস্ট করে বঙ্গ বিজেপি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছে, 'মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান লাভলি খাতুন, যিনি বাংলাদেশি হওয়ার কারণে তাঁর সদস্যপদ হারিয়েছিলেন, তিনি ২১ জুলাই কলকাতায় তৃণমূলের সমাবেশে যোগ দিতে এসেছেন!' এর আগে এই লাভলি খাতুনকে বাংলাদেশে পুশ ব্যাকের দাবি জানিয়েছিল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের প্রশ্ন, আগেই তাঁকে বাংলাদেশি বলে ঘোষণা করেছে প্রশাসন; তারপরও কেন ওই তৃণমূল নেত্রীকে রাজ্য প্রশাসন পুশ ব্যাক করছে না?
প্রসঙ্গত, মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের রসিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান লাভলি খাতুনকে বাংলাদেশি নাগরকিক বলে দাবি করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁর কাছে পরাজিত কংগ্রেস প্রার্থী। বিষয়টি মহকুমাশাসককে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয় আদালত। তদন্তে উঠে আসে, লাভলি খাতুন বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছেন। এর পর এক ব্যক্তিকে বাবা বলে পরিচয় দিয়ে ভারতীয় নথি বানিয়েছেন তিনি। যদিও তাঁর বাংলাদেশের দ্বাদশ শ্রেণি উত্তীর্ণ হওয়ার সার্টিফিকেট রয়েছে। এবং সেখানে বাবার নাম আলাদা। এর পরই লাভলি খাতুনের বাংলাদেশি বলে ঘোষণা করে পঞ্চায়েতের সদস্যপদ খারিজ করার নির্দেশ দেন মহকুমাশাসক। ফলে প্রধান পদ চলে যায় তাঁর।