এবার বিধানসভা থেকে খোঁচা গেল রাজভবনে। হাওড়ার পুরসভা নির্বাচন নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে খোঁচা দিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা পুরসভা ও হাওড়া পুরসভা নির্বাচন একসঙ্গে হওয়ার কথা ছিল। সেখানে কলকাতা পুরসভার নির্বাচন হচ্ছে ১৯ ডিসেম্বর। আর হাওড়া পুরসভা নির্বাচন স্থগিত রাখা হয়েছে। সেটা রাজ্যপালের বিলে সই না করার জন্যই হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার খোঁচা দিয়ে বলেন, ‘হাওড়া বিল দ্রুত পাশ না করার জন্য সেখানে ভোট হল না। এটা না হওয়ার কোনও কারণ ছিল না। এটা বুঝতে হবে যে কোনটা প্রয়োজন। যদিও একদিনে কৃষি বিলে রাষ্ট্রপতি সই করতে পারেন তা হলে এটা হল না কেন? রাজ্যপালকে আমরা সব পাঠিয়ে দিয়েছি। উনি কি উদ্দেশ্যে আটকে রেখেছেন তা জানি না।’এই মন্তব্য করার পর বিধানসভা বনাম রাজভবন সংঘাত বাধবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। কারণ বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে পাশ হয়েছিল হাওড়া পুরসভা (সংশোধনী) বিল ২০২১। আর এই বিল অনুমোদন দেননি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তাই হাওড়ার পুরসভা নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করা যায়নি। তাই নিয়েই বিধানসভার অধ্যক্ষ রাজ্যপালকে খোঁচা দিলেন। ইতিমধ্যেই হাওড়ায় বিজেপির সংগঠনে ভাঙন ধরেছে। শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে নারদ কেলেঙ্কারির কথা বলে কোপ পড়েছে জেলার সভাপতির উপর। তারপর এই বিলে অনুমোদন না দেওয়া বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। এই মন্তব্যের পর রাজ্যপাল পাল্টা এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। যদিও এই সংশোধনী বিল তিনি নিজে চেয়ে পাঠিয়েছিলেন। তা দ্রুত পাঠিয়েও দেওয়া হয়েছিল। রাজ্যপাল তাতে স্বাক্ষর করলে তা আইনে পরিণত হতো। কিন্তু তা তিনি করেননি। ফলে আটকে যায় হাওড়া পুরসভা নির্বাচন। তার মধ্যে একাধিকবার হাওড়া পুরসভার নির্বাচন নিয়ে বৈঠক করতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসকে রাজভবনে ডেকে পাঠান রাজ্যপাল। তারপরও জট কাটেনি।এই অবস্থায় হাওড়া পুরসভা নির্বাচন নিয়ে খোঁচা দিলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। আগেও সংঘাত বাধতে দেখা গিয়েছিল বিধানসভা–রাজভবনের। এবার তা প্রকাশ্যে আসতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজ্যপালের বাজেট ভাষণ সম্প্রচার থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রীর শপথ পর্যন্ত কম সংঘাত হয়নি। এমনকী তার জেরে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে নালিশ করেছিলেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার আবার সংঘাতের বাতাবরণ তৈরি হল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।