গত ছ’বছরে একের পর এক নতুন রাজনৈতিক দল গড়ে উঠেছে রাজ্যে। কিন্তু দল গঠনের পরই থেমে গিয়েছে সব কর্মকাণ্ড। না কোনও নির্বাচনে লড়াই, না জনসংযোগ, না প্রচার কোনওরকম রাজনৈতিক কার্যকলাপই দেখা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে এমন আটটি দলের আগেই শোকজ করেছিল কমিশন। এবার তারইমধ্যে একটি বাদে বাকি ৭টি দল বাতিল করতে চলেছে কমিশন।
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে নিষিদ্ধ জামাতের প্রাক্তনীদের একাংশ আনছে নয়া রাজনৈতিক দল! আবেদন ECকে
নথিভুক্ত কিন্তু অস্বীকৃত আটটি রাজনৈতিক দলকে অস্তিত্ব প্রমাণের সুযোগ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তবে কমিশন সূত্রে খবর, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে একমাত্র ‘মূল নিবাসী পার্টি’-র পক্ষ থেকেই প্রতিনিধি হাজির হয়ে প্রয়োজনীয় নথি জমা দেওয়া হয়েছে। হাজির হয়েছিলেন প্রাক্তন আইপিএস নজরুল ইসলাম। ২০১৯ সাল থেকে দলটি নিয়মিতভাবে নির্দল প্রার্থী দিয়ে নির্বাচনে লড়েছে। বাকি সাতটি দল কোনও জবাব না দেওয়ায়, তাদের রেজিস্ট্রেশন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
দিল্লি থেকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে সম্প্রতি পাঠানো এক নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ২০১৯ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে তৈরি হওয়া এই আটটি দলের রাজনৈতিক তৎপরতা নেই বললেই চলে। এরা এখনও পর্যন্ত কোনও ভোটে দাঁড়ায়নি, কোনও কর্মসূচি নেয়নি, এমনকি সংবাদমাধ্যমেও কখনও তাদের নাম উঠে আসেনি। তাই, এই দলগুলি আদৌ কি রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্য কি না সেনিয়ে ওঠে প্রশ্ন।
এই আটটি দলকে শোকজ করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কমিশন জানিয়েছে, প্রতিটি দলের কাছ থেকে বিস্তারিত ব্যাখ্যা চাওয়া হয়, তারা কেন রাজনৈতিকভাবে নিষ্ক্রিয়, ভবিষ্যতে আদৌ কোনও রাজনৈতিক পরিকল্পনা রয়েছে কি না। সেইসঙ্গে তাদের সবরকম তথ্য ও কাগজপত্র খতিয়ে দেখা হয়। যে আটটি দলের বিরুদ্ধে এই প্রশ্ন উঠেছে, সেগুলি বিভিন্ন জেলার। এর মধ্যে রয়েছে অল ইন্ডিয়া তফসিলি ইউনাইটেড পার্টি, বঞ্চিত স্বরাজ পার্টি, বাংলা বিকাশবাদী কংগ্রেস, ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্ট পার্টি (প্রবোধ চন্দ্র), ইন্ডিয়ান ডেমোক্রেটিক কংগ্রেস, ইন্ডিয়ান পিপলস ফরওয়ার্ড ব্লক এবং মূল নিবাসী পার্টি অফ ইন্ডিয়া।