রাজ্য সরকারের উদ্যোগে সরাসরি বার্ধক্য ভাতার সুবিধা পাচ্ছেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আওতায় থাকা মহিলারা। যাঁরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এতদিন পেয়ে আসছিলেন, ৬০ বছরের গণ্ডি পার করলেই বার্ধক্য ভাতার জন্য তাঁদের আর আলাদা করে আবেদন করতে হচ্ছে না। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের উপভোক্তারা ৬০ বছরে পা দিলেই সরাসরি বার্ধক্য ভাতার আওতায় আসছেন। সরকার নিজে থেকেই সেই নাম তুলে দিচ্ছে বার্ধক্য ভাতার তালিকায়। ২০২৩ সাল থেকে শুরু হওয়া এই প্রক্রিয়ায় এখনও পর্যন্ত রাজ্যে প্রায় ৬ লক্ষ ৮২ হাজার ৮৯৫ জন উপভোক্তা সরাসরি এভাবে বার্ধক্য ভাতার তালিকাভুক্ত হয়েছেন। শুক্রবার বিধানসভায় এই তথ্য জানান রাজ্যের নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা।
আরও পড়ুন: মমতার পথে রেখা! দিল্লিতেও চালু হল 'লক্ষ্মীর ভান্ডার', কত পাবেন নারীরা?
মন্ত্রী জানান, এখনও পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে ৬ লক্ষ ৮২ হাজারেরও বেশি উপভোক্তা এই স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়ায় সুবিধা পেয়েছেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের পরে এইসব উপভোক্তার নাম উঠে গিয়েছে বার্ধক্য, তফশিলি বন্ধু অথবা জয় জোহার প্রকল্পে। এর মধ্যে ৬ লক্ষ ৩৪ হাজার ৮৩৭ জন এখন বার্ধক্য ভাতার তালিকাভুক্ত। তফশিলি বন্ধুতে তালিকাভুক্ত হয়েছেন ৪১ হাজার ৮৯২ জন, আর ৬,১৬৬ জন জয় জোহার প্রকল্পে।
মন্ত্রী আরও জানান, রাজ্য সরকারের ‘জয় বাংলা’ পোর্টালে ইতিমধ্যেই এঁদের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। মন্ত্রীর কথায়, বর্তমানে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অধীনে থাকা মহিলার সংখ্যা হয়েছে ২ কোটি ২০ লক্ষ। শুরু থেকেই এর জন্য রাজ্যের খরচ হয়েছে ৬৩ হাজার ৬১৫ কোটি টাকা ( ২০২৫ সালের ১০ জুন পর্যন্ত)।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের অগস্টে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদন করেছেন মহিলারা। ধাপে-ধাপে চালু হওয়া ক্যাম্পে অংশ নিয়ে মহিলারা আবেদন করেন এই প্রকল্পে। ইতিমধ্যেই আট দফা ক্যাম্প সম্পন্ন হয়েছে এবং তাতে আবেদনকারীদের বেশিরভাগই এখন উপভোক্তা। প্রথমদিকে সাধারণ মহিলারা এই প্রকল্পে মাসে পেতেন ৫০০ টাকা, তফশিলি ও উপজাতিদের জন্য ছিল ১,০০০ টাকা। কিন্তু এখন সেই ভাতা বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১,০০০ ও ১,২০০ টাকা।