৩০ বছর আগে সিরাজুল এবং নির্মলের সামনে সেই সমস্ত ঘটনা ঘটেছিল। তাঁরা একেবারে সবকিছু সামনে থেকে দেখেছিলেন। তৎকালীন যুব কংগ্রেস নেত্রীকে মারধর করার প্রতিবাদে ওই দুজনেরই চাকরি চলে গিয়েছিল। তবে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর একজন চাকরি এবং বকেয়া ফিরে পেলেও আর একজন চাকরি ফিরে পাননি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রতিবছর একুশে জুলাই শহীদ দিবস পালন করে থাকে তৃণমূল কংগ্রেস। ৩ দশক আগে সেই একুশে জুলাইয়ে তৎকালীন যুব কংগ্রেস সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেপরোয়াভাবে লাঠিচার্জ করেছিল পুলিশ। তার প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন ২ পুলিশ কর্মী। তার জন্য তৎকালীন সরকারের রোষের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁদের। চাকরি গিয়েছিল দুজনেরই। সেই দুই প্রাক্তন পুলিশ কর্মী সিরাজুল হক মণ্ডল এবং নির্মল বিশ্বাসের সঙ্গে দেখা করলেন বর্তমান তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেখা করার পর মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের বললেন, তিনি কিছুই ভোলেননি।
৩০ বছর আগে সিরাজুল এবং নির্মলের সামনে সেই সমস্ত ঘটনা ঘটেছিল। তাঁরা একেবারে সবকিছু সামনে থেকে দেখেছিলেন। তৎকালীন যুব কংগ্রেস নেত্রীকে মারধর করার প্রতিবাদে ওই দুজনেরই চাকরি চলে গিয়েছিল। তবে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর একজন চাকরি এবং বকেয়া ফিরে পেলেও আর একজন চাকরি ফিরে পাননি। ফলে বাধ্য হয়ে তাঁকে এখনও দিনমজুরের কাজ করতে হচ্ছে। ১৯৯৩ সালের ২১শে জুলাই টি বোর্ডের সামনে কর্তব্যরত ছিলেন ওই দুই পুলিশ কর্মী। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুরে দুজনে নবান্ন পৌঁছন। সেখানে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে কথা বলেন। তাঁদের কথোপকথনে ৩০ বছর আগেকার স্মৃতি ফুটে ওঠে। দুজনেই ওই দিনের ঘটনার কথা উল্লেখ করেন। তাঁদের কথায়, ‘আমরা চেয়েছিলাম মুখ্যমন্ত্রী একবার ডেকে আমাদের সঙ্গে কথা বলুন। এত বছর পর মুখ্যমন্ত্রী আমাদের সঙ্গে দেখা করলেন। উনি কথা বললেন। মুখ্যমন্ত্রী হয়েও উনি কিছু ভোলেননি। এতে আমরা আনন্দিত।’