শহিদ স্মরণ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সাত সকালে তিক্ত হয়ে উঠল নন্দীগ্রামের রাজনৈতিক আবহাওয়া। নন্দীগ্রামের ভাঙাবেড়ায় ৭ জানুয়ারি সিপিআইএমের দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহতদের স্মরণ করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে বেলাগাম ভাষায় আক্রমণ করলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান। পালটা শুভেন্দুর হুমকি, ‘আমি যার দিকে তাকাই, ধ্বংস হয়ে যায়।’
এদিন সূর্যোদয়ের আগে নন্দীগ্রামের ভাঙাবেড়ায় শহিদ স্মরণ অনুষ্ঠান ছিল তৃণমূলের। সেখানে হাজির ছিল দলের জেলা নেতৃত্ব। সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে নন্দীগ্রামে সাম্প্রদায়িক বিভাজন করার অভিযোগ তোলেন তৃণমূল নেতারা। শুভেন্দুকে আক্রমণ করতে গিয়ে মাত্রা ছাড়িয়ে যান তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান। তিনি বলেন, ‘যদি ভরত মণ্ডল আজ বেঁচে থাকত, তোদের মুখে লাথি মারত। এই নির্লজ্জ বেহায়া শুভেন্দু অধিকারীর মুখে লাথ মারত। কারণ, যারা খুনি তারা আসবে সেই শহিদ বেদিতে মালা দিতে এটা হয় না। শহিদদের নিয়ে নিজের রাজনৈতিক অস্তিত্ব বাঁচানোর লড়াই করছে।’
তৃণমূলের অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পর বিজেপির শহিদ স্মরণ অনুষ্ঠানে যোগদান করেন স্থানীয় বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে শেখ সুফিয়ানকে পালটা আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘এখানে তারাচাঁদবাড়ের একটা চোর এসেছিল একটু আগে। জাহাজ বাড়ি করেছে। অসংখ্য বউ। সকালবেলা অনেক গালাগালি করে গেছে। দেবব্রত মাইতির খুনের মামলায় শর্তাধীন জামিনে আছে। আমি যার দিকে তাকাই ধ্বংস হয়। শাহজাহান ধ্বংস হয়েছে। কেষ্ট ২ বছর জেল খেটেছে। তারাচাঁদবাড়ের এই চোরটাকে আমি বলে গেলাম তোমার অবস্থা আমি কী করব দেখে নেবে। দেখবি আর জ্বলবি, লুচির মতো ফুলবি।’