দলীয় অনুষ্ঠানে প্রাথমিকভাবে সিপিএমের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক অনিল বিশ্বাসের মেয়ে অজন্তা বিশ্বাসকে চিনতেই পারলেন না বর্তমান রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। প্রথমে বলেই বসেন, ‘কে অজন্তা বিশ্বাস? কেনই বা তাঁকে শোকজ করা হবে?’ পরে অবশ্য বুঝতে পেরে বলেন, ‘অজন্তাকে তিনি ডাকনামেই চেনেন। অজন্তা যা করেছেন, তা কাম্য নয়।’ উল্লেখ্য, দলের সদস্য হয়ে তৃণমূলের দলীয় মুখপাত্রের উত্তর সম্পাদকীয় লিখে সিপিএম নেতৃত্বের রোষের মুখে পড়েছিলেন অনিল কন্যা।সম্প্রতি অজন্তা বিশ্বাসের মেয়ের সাসপেনশনের মেয়াদ তিন মাস থেকে বাড়িয়ে ছয় মাস করা হয়। সোমবার জেলায় একটি দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেন সূর্যকান্ত মিশ্র। সেখানে হাজির ছিলেন অনিল বিশ্বাসের মেয়েও। জেলা সম্পাদক অজন্তাকে অনিল কন্যা বলে সম্মোধন করলেও প্রথমে বুঝতে পারেননি সূর্যকান্ত। অজন্তার ডাকনাম বলতেই সূর্যকান্ত বলে ওঠেন, ‘আমি অজন্তাকে ডাকনাম ধরে চিনি। ভালো নামটা বিশেষ মনে থাকে না। অজন্তা যা করেছেন, তা কাম্য নয়। এক দলে থেকে তিনি বিরোধী দলের মুখপত্রে লিখেছেন। দলবিরোধী মন্তব্য করছেন। তাই কলকাতা জেলা কমিটি তাঁকে সাসপেন্ড করেছে। দলবিরোধী কোনও কাজ করলে বা কথা বললে সেই সদস্যকে তো ছেড়ে দেওয়া হবে না।’উল্লেথ্য, গত ২৮ থেকে ৩০ জুলাই তিন কিস্তিতে অজন্তা বিশ্বাসের লেখা প্রকাশিত হয়। এরপরই বিষয়টি নিয়ে সিপিএমের অন্দরে সমালোচনার ঝড় ওঠে। অজন্তার এই কাজ নিয়ে দলের এরিয়া কমিটি ব্যাখ্যা চায়। এরিয়া কমিটিকে অজন্তা লিখেছিলেন, তাঁর এই লেখায় যদি কেউ দুঃখ পেয়ে থাকেন, তাহলে তিনি ক্ষমা চাইছেন। এরপরই অজন্তাকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেয় কলকাতা জেলা কমিটি।