আজ, ৩ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। ১৮ মার্চ পর্যন্ত চলবে এই পরীক্ষা। এরই মাঝে সোমবার সকাল ১০টা থেকে ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে এসএফআই। পাশাপাশি এআইডিএসও-র তরফেও ছাত্র ধর্মঘটে ডাক দেওয়া হয়েছে। এই আবহে তৎপর পুলিশ। এদিকে এবারের উচ্চমাধ্যমিকে রাজ্যের ১৩৬টি পরীক্ষাকেন্দ্রকে 'স্পর্শকাতর' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এদিকে গতবারের থেকে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। এবছর পরীক্ষায় বসছেন ৫ লক্ষ ৯ হাজার জন। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত পরীক্ষা হবে রাজ্যের ৭৯৮টি কেন্দ্রে। (আরও পড়ুন: গাজায় ত্রাণ বন্ধ করল ইজরায়েল, রমজানে খিদের জ্বালায় কুঁকড়ে যাবেন প্যালেস্তিনীয়রা)
আরও পড়ুন: 'বন্ধু' ইউনুসকে বড় বার্তা, বাংলাদেশ নিয়ে 'উদ্বিগ্ন' অমর্ত্য সেন বললেন...
পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ফোন বা অন্য কোনও বৈদ্যুতিন যন্ত্র নিয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে মোবাইল ধরা পড়লে এ বছরের মতো তাঁর পরীক্ষা সম্পূর্ণ বাতিল করা হবে। এই আবহে প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে থাকছে ‘মেটাল ডিটেক্টর’। থাকছে সিসিটিভি ক্যামেরা। নকল রুখতেই এত সব পদক্ষেপ। এদিকে আজ পরীক্ষা শুরুর ৫ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের সামনেই প্রশ্নপত্র খোলা হবে। ১০টায় প্রশ্নপত্র দেওয়া হবে পরীক্ষার্থীদের।
এদিকে কলকাতা পুলিশের তরফে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা উপলক্ষে ট্রাফিক নোটিফিকেশন জারি করা হয়েছে ক'দিন আগেই। সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী, ৩ মার্চ, ৪ মার্চ, ৫ মার্চ, ৬ মার্চ, ৭ মার্চ,৮ মার্চ, ১০ মার্চ, ১১ মার্চ,১৩ মার্চ, ১৭ মার্চ, ১৮ মার্চ পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল নির্দিষ্ট সময়ের জন্য় নিয়ন্ত্রণ করা হবে কলকাতায়। পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে যাতে অসুবিধা না হয়, ট্রাফিক জ্যাম যাতে না হয়, তাই এই ব্যবস্থ। তবে জরুরি পরিষেবা প্রদানকারী গাড়ির ক্ষেত্রে এই বিধিনিষেধ শিথিল করা হবে।
এদিকে যাদবপুর কাণ্ডের জেরে আজ এসএফআই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। তবে ধর্মঘট বা এসএফআইয়ের রাজনৈতিক কর্মসূচির জেরে পরীক্ষার্থীরা যদি কোথাও সমস্যায় পড়েন তবে পুলিশ কড়া ব্যবস্থা নেবে। ছাত্রছাত্রীরা যাতে পরীক্ষাকেন্দ্রে কোনও সমস্যা ছাড়াই পৌঁছতে পারেন, তার জন্যে হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে পুলিশ। রবিবার কলকাকার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা সাংবাদিক সম্মেলন করে সেই ফোন নম্বরটি প্রকাশ করেন। জানানো হয়, কেউ কোনও সমস্যায় পড়লে যেন হেল্পলাইন নম্বর - ৯৪৩২৬১০০৩৯ -এ ফোন করেন। এরই সঙ্গে রাজ্য পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, ১০০ ডায়াল করে ফোন করতে পারেন সমস্যায় পড়া পরীক্ষার্থীরা। এদিকে ট্রাফিক বিভাগও সক্রিয় থাকবে। রেলস্টেশন ও বাসস্টপ থেকে যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে। পর্যাপ্ত বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, কিয়স্কে সিভিক ভলান্টিয়ার সহ রাজ্য পুলিশের সদস্যরা থাকবেন। তাদের কাছে প্রয়োজনীয় সহায়তা পাবেন পরীক্ষার্থীরা।