কসবা গণধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। সেই আবহে এবার যৌন হেনস্তার স্বীকার হলেন এক তৃণমূল নেত্রী। তৃণমূল পঞ্চায়েতের মহিলা সভানেত্রীর শ্লীলতাহানির পাশাপাশি কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ভিলেজ পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনায় ওই ভিলেজ পুলিশকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতের নাম অমিত পাল। ঘটনাটি ঘটেছে কৃষ্ণনগরের চাপড়া ব্লকে। মঙ্গলবার রাতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। (আরও পড়ুন: যাদবপুরে পুলিশের জুতোতে লাগল আগুন, বাংলার কোথায় কেমন প্রভাব ভারত বনধের?)
আরও পড়ুন: নাবালিকা ছাত্রীর শ্লীলতাহানি, বীরনগরে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা, পকসো আইনে মামলা
আরও পড়ুন: পাক-চিনের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে বাংলাদেশ, কী বলছেন ভারতের চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ?
জানা গিয়েছে, কৃষ্ণনগরের চাপড়া ব্লকের একটি পঞ্চায়েতের মহিলা সভানেত্রী গত ৪ জুলাই রাতে রানাবন্ধ এলাকা থেকে খ্রিস্টানপাড়ার দিকে যাচ্ছিলেন। সেই সময় পথ আটকায় অমিত। নেত্রীর অভিযোগ, অমিত প্রথমে তাঁর সঙ্গে অশালীন আচরণ করে, হাত ধরে টানাটানি করে এবং কুপ্রস্তাব দেয়। আতঙ্কে ওই মহিলা দৌড়ে নিজের বাড়িতে ঢুকে পড়েন। কিন্তু অমিত নাছোড়বান্দা। সে বাড়ির দরজা-জানালায় ধাক্কা দিতে থাকে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ওই নেত্রী চাপড়া থানায় ফোন করেন। পুলিশের গাড়ি এলেও ততক্ষণে অমিত এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। (আরও পড়ুন: বড় কোনও দায়িত্ব পাবেন দিলীপ? শমীকের সঙ্গে সাক্ষাতের পরই ডাক পেলেন দিল্লিতে)
আরও পড়ুন: অপারেশন সিঁদুরে পাককে মদত করা তুরস্কের নজর ভারতের পূর্বে, বাংলাদেশ সেনা বলল…
পরদিন সকালে থানায় গেলে অভিযোগ জানানোর পরিবর্তে ওই মহিলা শুধু চেয়েছিলেন, অমিত যেন ভবিষ্যতে এমন কাজ আর না করে এই নিশ্চয়তা দিতে। সেই অনুযায়ী পুলিশ তাকে থানায় ডেকে সাবধান করে দেয়। তবে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয় সোমবার রাতে। অভিযোগ, অমিত কিছু রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নিয়ে ওই নেত্রীকে ভয় দেখায়। অভিযোগ তুলে নিতে চাপ সৃষ্টি করে এবং লিখে দিতে বলে যে তিনি কোনও অভিযোগ করেননি। এই ঘটনার পরই মহিলা ফের থানায় গিয়ে অমিতের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তারপরেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। চাপড়া থানার এক অফিসার জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে অমিতকে ধরা হয়েছে। এ ঘটনায় অন্য যারা জড়িত, তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। এই ঘটনা জানাজানি হতেই গোটা কৃষ্ণনগর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। প্রশাসনের ভূমিকাও নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ভিলেজ পুলিশ পদে থাকা একজনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগে শাসকদলের অন্দরেই ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।