রাজ্যের ৪ পুরনিগমের ভোট ঘোষণার পরেই জোর প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে শাসক দল থেকে শুরু করে বিরোধীরা। মঙ্গলবারই শিলিগুড়ি পুরভোটকে সামনে রেখে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে বামফ্রন্ট। সেখানে সিপিএমের প্রবীণ নেতা অশোক ভট্টাচার্যকে প্রার্থী করা হলেও প্রার্থী তালিকায় নাম নেই বিগত পুরবোর্ডের চেয়ারম্যান তথা ৫ বারের কাউন্সিলর দিলীপ সিংহ এবং নুরুল ইসলামের। আর এই নিয়েই এখন শোরগোল পড়েছে সিপিএমের অন্দরে। এই দুই নেতাকে শিলিগুড়ির হেভিওয়েট বাম নেতা হিসেবে ধরা হয়। স্বেচ্ছা অবসর নেওয়ার পরেও পুনরায় ভোটে দাঁড় করানো হয়েছে অশোক ভট্টাচার্যকে। সে ক্ষেত্রে এই দুই নেতাকে কেন শিলিগুড়ি পুরসভাভোটের প্রার্থী করা হল না? তা নিয়ে সিপিএমের অন্দরেই প্রশ্ন উঠেছে।যদিও এ নিয়ে মাথা ঘামাতে রাজি নন সিপিএম নেতা দিলীপ সিংহ। দলের সিদ্ধান্তকেই তিনি মাথা পেতে স্বীকার করে নিয়েছেন। তাঁর মতে, 'ব্যক্তিস্বার্থের থেকেও দলের স্বার্থকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া উচিত।' তিনি নিজে থেকে ভোটে দাঁড়াতে চাননি বলে দাবি করেছেন দিলীপ সিংহ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'গতবার আমি যে ওয়ার্ড থেকে দাঁড়িয়েছিলাম সেই ওয়ার্ডটি সংরক্ষিত করা হয়েছে। তাই আমি অন্য ওয়ার্ডে ভোটে দাঁড়াতে চাইনি।' এ প্রসঙ্গে একই কথা জানিয়েছেন সিপিএমের প্রাক্তন জেলা সম্পাদক জিবেশ সরকার। তিনি জানান, 'এর আগে দিলীপ সিংহ এবং নুরুল ইসলাম যে ওয়ার্ড থেকে জিতেছিলেন সেই দুটি ওয়ার্ডকে সংরক্ষিত করা হয়েছে। সেই কারণে তাদের প্রার্থী করা সম্ভব হয়নি।' তবে দলের সিদ্ধান্তে দিলীপ সিংহের কোনও অমত না থাকলেও নুরুল ইসলাম ব্যক্তিগত কারণে প্রার্থী হতে চাননি বলেই জানা যাচ্ছে। উল্লেখ্য, শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৪৭টি আসনের সবগুলিতে প্রার্থী দিয়েছে সিপিএম। সে ক্ষেত্রে দিলীপ সিংহ এবং নুরুল ইসলামকে প্রার্থী না করার ক্ষেত্রে আসন সংরক্ষিত থাকার কারণ দেখানো হলেও তা মেনে নিতে চাইছেন না রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তাদের মতে, গতবার পুর নিগমের ২০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর হয়েছিলেন অশোক ভট্টাচার্য। তবে সেই ওয়ার্ডটি সংরক্ষিত করার কারণে তাঁকে ৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী করা হয়েছে। তাহলে ওই দুই হেভিওয়েট নেতাকে অন্য ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী কেন করল না সিপিএম। তাই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।