ইংরেরবাজার শহরে প্রকাশ্য দিবালোকে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হলেন তৃণমূল নেতা। বৃহস্পতিবার দুপুরে এই ঘটনায় শহরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মালদা মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি দুলাল সরকার। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো এদিনও ইংরেজবাজার শহরে তৃণমূলের পার্টি অফিসে যান দুলালবাবু। সেখানে কাজকর্ম সেরে নিজের কারখানার উদ্দেশে রওনা হন তিনি। তখনই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় ৩ বাইকআরোহী। খুব কাছ থেকে মোট চার রাউন্ড গুলি চালায় তারা। তার মধ্যে ৩ রাউন্ড গুলি লাগে দুলালবাবুর শরীরে। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যান। সেখানে সঙ্গে সঙ্গে তাঁর অস্ত্রোপচার শুরু করেন চিকিৎসকরা। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, দুলালবাবুর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পুলিশ সুপার। ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখলেও সংবাদমাধ্যমের সামনে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি। ঘটনার তদন্তে নেমে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করতে শুরু করেছে পুলিশ। যদিও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আততায়ীরা মাথায় হেলমেট পরে ও কাপড় বেঁধে এসেছিল। রাজনৈতিক কারণে এই হামলা, না কি এর পিছনে কোনও ব্যবসায়িক শত্রুতা রয়েছে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
দুলাল সরকার অনুগামীদের দাবি, দলের গোষ্ঠীকোন্দলেই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন দুলালবাবু। দলেরই একাংশের হাত রয়েছে এর পিছনে। দুলালবাবুর সাফল্য ও তৎপরতায় ঈশ্বান্বিত হয়ে এই কাজ ঘটিয়েছে তারা।
মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, ‘মালদা শহরে এই ঘটনা ভাবা যায় না। শাসকদলের নেতাকে প্রকাশ্যে জনবহুল জায়গায় গুলি করা হচ্ছে। তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়?’