এখন রাজ্য–রাজনীতিতে চর্চিত বিষয় হয়ে উঠেছে পুনর্গণনার দাবি। আর এই ইস্যুতে রয়েছে শাসক– বিরোধী দুই শিবিরই। সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামের ভোট–গণনায় কারচুপির অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। এমনকী তৃণমূল কংগ্রেসের আরও চার প্রার্থী তাঁদের কেন্দ্রে পুনর্গণনার দাবিতে মামলা করেছেন কলকাতা হাইকোর্টে। তারই পাল্টা হিসাবে তৃণমূল কংগ্রেসের পাঁচের বদলে বিজেপি ৫০টি আসনে পুনর্গণনার দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ।আর এই ইস্যুতে দিলীপ ঘোষকে তুলোধনা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। বিজেপির রাজ্য সভাপতির উদ্দেশ্যে শোভনদেব বলেন, ‘হাইকোর্টে যদি যেতে চায় যাবে। কিন্তু দিলীপ ঘোষকে তো ওঁদের দলের সদস্যরাই নেতা মানেন না। যেখানেই যান সেখানেই বিক্ষোভ দেখান দলের নেতা–কর্মীরা।অভিযোগ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হতেই পারেন তিনি। তবে লাভ কিছু হবে না। কারণ হয়তো দেখা যাবে, আরও অনেক বেশি আসন খোয়াতে হচ্ছে বিজেপিকে। হাইকোর্টে যাবে তো যাক, পাগলে তো অনেক কিছুই বলে।’আজই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তিনি যে বিজেপি বিরোধী মুখ তা বলা হয়েছে। তারপরই শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘আমাদের দলে একজনই নেত্রী। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কোনও বিকল্প নেই বাংলায়। ভারতবর্ষেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প থাকবে না, তা অচিরেই প্রমাণিত হবে।’রবিবার খড়দহে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকেও কাঠগড়ায় তোলেন শোভনদেব। তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় এসেই চারটে প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছেন। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী সাত বছরে মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মানুষকে আর্থিক দিক থেকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করানোর চেষ্টা করছেন। তাঁর নেতৃত্বে বাংলায় উন্নয়নযজ্ঞ চলছে।’ এই কথা বলে তিনি সুইস ব্যাঙ্কে কালো টাকা জমা হওয়ার বিষয়টি উস্কে দিয়েছেন। এখনও কোনও ভারতীয় ১৫ লক্ষ টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাননি। সেই কথাই যেন স্মরণ করালেন তিনি বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কুশীলবরা।