নীনা গুপ্তা এবং ভিভ রিচার্ডসের প্রেমের কথা সকলেরই জানা। তাঁরা নিজেরাও নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে বিশেষ রাখঢাক করেননি। তাঁদের এই প্রেম পর্বের সময়ই গর্ভবতী হন নীনা। না, তখনও তাঁরা বিবাহিত ছিলেন না। এমন অবস্থায় অবিবাহিত মেয়ে হয়ে মা হবে? অনেকেই গর্ভপাত করানোর পরামর্শ দেন নীনাকে। কিন্তু এই কঠিন সময় তাঁর পাশে কি ভিভ রিচার্ডস ছিলেন?
আরও পড়ুন: ৩ কোটির দোরগোড়ায় সৃজিতের কিলবিল সোসাইটি, বক্স অফিসে কী হাল মিঠুন-অঞ্জনার শ্রীমান ভার্সেস শ্রীমতীর?
কী ঘটেছে?
১৯৮৯ সালে নীনা গুপ্তা জানতে পারেন তিনি মা হতে চলেছেন। আর সেই খবর, অনুভূতি জেনেই আনন্দ, উচ্ছ্বাসে ভাসেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি জানতেন এই সফরটা তাঁর জন্য মোটেই সুখকর হবে না। সিঙ্গল মা হিসেবে সেই সময় সন্তানের জন্ম দেওয়া বেশ কঠিন ব্যাপার ছিল সমাজের চোখ, তার উপর তিনি তখন অবিবাহিত ছিলেন। কিন্তু এই কঠিন সময় তাঁর পাশে কি ভিভ রিচার্ডস ছিলেন? কী জানিয়েছেন তিনি তাঁর বই সচ কাহু তো-তে?
নিজের এই বইতে নীনা জানান তাঁর সঙ্গে ভিভ রিচার্ডসের একটি নৈশভোজের পার্টিতে আলাপ হয়। তাঁদের দারুণ সখ্য জমলেও যোগযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যান। এরপর দিল্লি বিমান বন্দরে তাঁদের ফের দেখা হয়। সেই সময় শুরু হয় তাঁদের প্রেম। এরপরই নীনা গর্ভবতী হয়ে পড়েন, অন্যদিকে তিনি যখন সেটা বুঝতে পারেন ভিভ রিচার্ডস ততদিনে ফিরে গেছেন। সেই সময় অনেকেই তাঁকে গর্ভপাত করার বুদ্ধি দেন। কেউ কেউ আবার বোঝান সিঙ্গল মা হওয়ার, একা হাতে সন্তান মানুষ করার নেতিবাচক দিক। অভিনেত্রী জানান যাঁরা তাঁকে এই বুদ্ধি দিতেন তাঁরা সকলেই তাঁকে নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। কিন্তু তিনি যখন বাড়ি ফেরেন, নিজেকে প্রশ্ন করেন বোঝেন এই খবর তাঁকে ভীষণ আনন্দ দিচ্ছে। তিনি চান এই সন্তান।
উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট জানার জন্য ক্লিক করুন এই লিংকে

একই সঙ্গে নীনার মাথায় আসে এই সন্তানের বাবার কথাও। তাঁরও তো এই সন্তানের উপর সমানাধিকার আছে। তাই তখন তিনি ভিভ রিচার্ডসকে ফোন করেন। জানান, 'আমি মা হচ্ছি। তোমার কি সমস্যা আছে যদি আমি তোমার সন্তানকে রাখি?' এই কথা শুনে ভিভ রিচার্ডস ভীষণ খুশি হন, এবং জানান এই সন্তান নীনা রাখতে পারেন। ভিভ তাঁকে সমর্থন করতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন নীনা।
আরও পড়ুন: ফের সময় রায়না সহ ৫ কন্টেন্ট ক্রিয়েটরকে ডেকে পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট! ফের কী ঘটেছে?
মাসাবা হওয়ার পর ভিভ রিচার্ডস যতটা পারতেন বাবা হিসেবে যুক্ত থাকতে। যদিও তিনি ততদিনে বিবাহিত, অন্য দেশে থাকতেন, তাই সেই সম্পর্ক খুব একটা সহজ ছিল না। বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেটা বদলে যায়। নীনা জানান, 'আমাদের কিছু বছর সম্পর্ক ছিল, কিছু সুন্দর মুহূর্ত, কিছু খারাপ। তাছাড়া সেটা একটা লং ডিসটেন্স সম্পর্ক ছিল।'