শনিবার নৈহাটির শিবদাসপুরে ভরসন্ধ্যায় তুমুল বোমাবাজি, গুলি চলেছিল। তাতে গুলি লেগে আহত হন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। আর আজ, রবিবার তাঁর মৃত্যুর খবর এল গ্রামে। দীর্ঘ চার ঘন্টার অস্ত্রোপচার করার পরও শেষরক্ষা হল না। কল্যাণী হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পরেও বাঁচানো গেল না তৃণমূল কংগ্রেস নেতা জাকির হোসেনকে। রবিবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। এই খবর আসতেই এলাকার শোকের ছায়া নেমে আসে। নৈহাটির শিবদাসপুরে শুটআউটে এখন আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছিল নৈহাটিতে? স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার সন্ধ্যায় শিবদাসপুরে মোটরবাইকে করে কয়েকজন দুষ্কৃতী আসে। তারা এলোপাথারি বোমা, গুলি ছুড়তে থাকে। তার জেরে তৃণমূল কংগ্রেস নেতার শরীরে গুলি লাগে। তাঁর শরীরে তিনটি গুলি লেগেছিল। আর বোমার আঘাতে দু’জন আহত হন। তাঁদের সবাইকে কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। আজ, রবিবার সেখানেই মৃত্যু হয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা জাকির হোসেনের।
কেন এমন ঘটনা ঘটল? সূত্রের খবর, জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিবাদ ছিল জাকির হোসেন ও আশাবুল আলির মধ্যে। আগেও একবার এই নিয়ে গণ্ডগোল দেখা দিয়েছিল জমিতে চাষ করা নিয়ে। তখন থানা পুলিশও হয়েছিল। কিন্তু শনিবার রাতে এক বন্ধুর সঙ্গে জাকির একটি চায়ের দোকানে বসেছিল। হঠাৎ সেখানে কয়েকজন দুষ্কৃতীকে সঙ্গে নিয়ে আসে আশাবুল। সেখানে হাজির হয়েই রাস্তার লাইট পোস্টের আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়। তারপর জাকিরকে লক্ষ্য করে তিন রাউন্ড গুলি চালিয়ে বোমা ছুড়ে চম্পট দেয় তারা। তখন আশঙ্কাজনক অবস্থায় জাকিরকে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চার ঘণ্টার অপারেশনের পরেও শেষরক্ষা হল না। মৃত্যু হয় তাঁর।