মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে তিনি বলেন, ‘বিধানসভার ভিতরে মন্ত্রীরা আমাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন না। অসহায় বোধ করেন। মুখ্যমন্ত্রীকে আমরা চ্যালেঞ্জ করছি। ওনার যদি দম থাকে তাহলে লোকসভা টিভির মতো বিধানসভা টিভি চালু করুন।
Ad
BJPর বিরুদ্ধে বঙ্গভঙ্গের অভিযোগ তুলে উত্তরবঙ্গের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করছে TMC
বিজেপির বিরুদ্ধে বঙ্গভঙ্গের অভিযোগ তুলে আসলে উত্তরবঙ্গের মুখ বন্ধ করতে চাইছে তৃণমূল। রবিবার শিলিগুড়িতে এক সাংবাদিক বৈঠকে এমনই দাবি করলেন বিজেপির মুখ্য সচেতক শংকর ঘোষ। তিনি বলেন, বিধানসভায় তৃণমূলের মন্ত্রীরা কী ভাবে ল্যাজে গোবরে হন তা প্রকাশ্যে চলে আসবে। তাই বিধানসভার অধিবেশন সরাসরি সম্প্রচার করতে দিচ্ছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শংকরবাবু বলেন, ‘গত বছর ২৪ অগাস্ট চা বাগানের জমির পাট্টা সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনার জন্য বিধানসভায় প্রস্তাব পেশ করি। আমি ছাড়াও উত্তরবঙ্গের একাধিক বিজেপি বিধায়ক সেই প্রস্তাবের ওপর আলোচনা চান। গত প্রায় ১ বছর করে সেই প্রস্তাব নিয়ে স্পিকারের সিদ্ধান্ত আমরা জানতে পারিনি। শুক্রবার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান প্রস্তাব পেশের পর নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে আলোচনা করতে হয়। সেই সময় পার হয়ে গিয়েছে। তাই উনি এই প্রস্তাবকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছেন। অথচ ন্যায় সংহিতার বিরোধিতায়, কখনও রাজ্য ভাগের বিরোধিতায় ২ দিন আগে সরকার পক্ষের পেশ করা প্রস্তাব গ্রহণ করছেন স্পিকার। এই সব আলোচনা জরুরি, না কি চা বাগানের শ্রমিকদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা জরুরি?’
মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে তিনি বলেন, ‘বিধানসভার ভিতরে মন্ত্রীরা আমাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন না। অসহায় বোধ করেন। মুখ্যমন্ত্রীকে আমরা চ্যালেঞ্জ করছি। ওনার যদি দম থাকে তাহলে লোকসভা টিভির মতো বিধানসভা টিভি চালু করুন। তাহলে রাজ্যের মানুষ বুঝতে পারত বিধানসভার ভিতরে রাজ্যের সরকার কত আছাড় খাচ্ছে।’
উত্তরবঙ্গের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে সরব হয়ে শংকর বলেন, ‘উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে একজন নিউরোসার্জেন ছিলেন। তাঁকে ৩ মাসের মধ্যে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আড়াই কোটি মানুষের জন্য একটা নিউরোসার্জেন দিয়েছিল। সেটাকে তুলে নিল। সেটা বলা মানে কি বঙ্গভঙ্গ? কলকাতা বিমানবন্দরে জ্বালানির ওপর কর ৫ শতাংশ কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। উলটো দিকে বাগডোগরায় কর বাড়িয়ে শূন্য থেকে ১২.৫ শতাংশ করা হয়েছে। এটা বললে কি বাংলা ভাগের চক্রান্ত করা হয়? আসলে এরা উত্তরবঙ্গের মুখ বন্ধ করে রাখতে চায়।উত্তরবঙ্গকে এরা কোনও কথা বলতে দেবে না।’