রাজ্য সরকারের লাগাতার অসৌজন্যেই কেন্দ্রীয় বাজেটে বঞ্চিত বাংলা। সুকান্ত মজুমদারের পর একথা স্পষ্ট করে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার সন্ধ্যায় তমলুকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দুবাবু বলেন, উন্নয়ন নিয়ে রাজনীতিটা কম করুন। রাজনীতিটা আপনারা করেন। তার ফল ভোগ করছে পশ্চিমবঙ্গের লোক।
শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘তৃণমূলকে পরামর্শ দেব, অন্য রাজ্যগুলোকে দেখে শিখুন। এমনকী ওমর আবদুল্লাহ, যিনি ভারতীয় জনতা পার্টির বিরুদ্ধে, তাঁকে দেখে শিখুন। তিনি বয়সে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে অনেক ছোট। তাঁকে দেখে শিখুন। ঝাড়খন্ডের হেমন্ত সোরেন ভোটে এত ফাটাফাটি করেছে শপথ গ্রহণে মোদীজি, অমিত শাহজি, রাজনাথ সিংজি, নিতিন গড়কড়ির বাড়ি গিয়ে তাঁদের আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছেন। ফেডারেল স্ট্রাকচার মেনে কেন্দ্র - রাজ্য সম্পর্ক বজায় রাখুন।’
তাঁর পরামর্শ, ‘তৃণমূলকে বলব, আগে আয়ুষ্মান ভারতটাকে চালু করুন। তৃণমূলকে বলব প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনাকে চালু করুন। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনাতে পরিচ্ছন্ন তালিকা পাঠান কেন্দ্রে। পশ্চিমবঙ্গে ৮১ লক্ষ প্রান্তিক কৃষক। ৫০ লক্ষের নাম পাঠিয়েছেন পিএম কিশানে। বছরে ৬ হাজার টাকা করে পাচ্ছেন তাঁরা। আরও ৩১ লক্ষ কৃষকের নাম কেন পাঠাননি? বিশ্বকর্মা যোজনয়া পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে একটা টাকা দিতে হয় না। সেই প্রকল্পে ৬ লক্ষ আবেদন পড়ে থাকলেও সেগুলো দিল্লিতে পাঠাচ্ছেন না কেন? আদিবাসী এলাকায় ৩টে একলব্য বিদ্যালয় তৈরির জন্য কেন্দ্রীয় সরকার জমি চেয়েছে। সেই জমি কেন দিচ্ছে না রাজ্য? উন্নয়ন নিয়ে রাজনীতিটা কম করুন। রাজনীতিটা আপনারা করেন। তার ফল ভোগ করছে পশ্চিমবঙ্গের লোক।’
রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে কেন্দ্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেন শুভেন্দুবাবু। তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার আসবে। তখন এখানে কেন্দ্রীয় সরকারকে নিয়ে আমরা সমস্ত কর্মসূচি চালু করব। সামাজিক স্কিমও চালু থাকবে। সেগুলোর সুবিধা আরও বাড়বে। সবচেয়ে বড় দাবি হচ্ছে প্রতি বাড়িতে চাগরি চাই। গুজরাতের মতো শিল্প ও কর্মসংস্থান পশ্চিমবঙ্গের মানুষরা চায়। সেকাজ করতে হলে ডবল ইঞ্জিন চাই।’