উত্তরের রাজধানী বলেই পরিচিত শিলিগুড়ি। এবার সেই শিলিগুড়ির বিধায়ক হয়েছেন বিজেপির টিকিটে নির্বাচিত শঙ্কর ঘোষ। স্বভাবতই শিলিগুড়িতে থেকে শাসকদলের প্রতিনিধিত্ব করার মতো কেউ নেই এবার। কিন্তু আগেও তো ছিল না। কিন্তু শিলিগুড়িরই বাসিন্দা তথা ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির বিধায়ক গৌতম দেবকে মন্ত্রী করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই আসন থেকেও এবার বিজেপির কাছে হেরেছেন গৌতম দেব। অগত্যা শিলিগুড়ি থেকে মন্ত্রী করার মতো শাসকদলের কোনও বিধায়কই নেই। সেকারণেই এবার কার্যত মন্ত্রী শূণ্য শিলিগুড়ি। তবে গত তিনদশকে এই ছবি ছিল না শিলিগুড়িতে।এই শিলিগুড়িরই বাসিন্দা অশোক ভট্টাচার্য দীর্ঘদিন বাম জমানার মন্ত্রী ছিলেন। কখনও প্রতিমন্ত্রী, কখনও আবার পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। কার্যত শিলিগুড়ির রূপকার বলা হত তাঁকে। শিলিগুড়িকে নতুনভাবে সাজিয়ে তুলতে বিধানসভা থেকে নানা দাবি আদায় করে আনতেন তিনি। কিন্তু এবার তিনি পরাজিত। স্বভাবতই বিধানসভায় থেকে শিলিগুড়ির সুখ দুঃখের কথা তিনি আর তুলতে পারবেন না। শিলিগুড়ির মহকুমার আসনগুলিতে এবার বিজেপির জয়জয়কার। সেক্ষেত্রে তাঁরাই এবার শিলিগুড়ির কথা তুলে ধরবেন বিধানসভায়।আসলে শিলিগুড়ি থেকে মন্ত্রী হওয়ার মতো কোনও প্রতিনিধি না থাকার বিষয়টি ভাবাচ্ছে তৃণমূলের একাংশকেও। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, শিলিগুড়ির প্রতি বঞ্চনা করা হয় বলে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ তুলতেন বাম বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্য। তবু সেই বঞ্চনা থেকে মুক্তির জন্য অন্তত মন্ত্রী গৌতম দেব ছিলেন। তিনি শিলিগুড়ি শহরেরই ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। এবার তিনি মন্ত্রী তো দূরের কথা বিধায়কও নন। তিনি এখন পুর প্রশাসক। সেক্ষেত্রে ফের সেই একই বঞ্চনার অভিযোগ উঠবে না তো। উন্নয়ন থমকে যাবে না তো মন্ত্রীবিহীন শিলিগুড়িতে? এই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছে শিলিগুড়ি।